শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

স্ট্যাচুটা দেখলেই মনে হয় - সিলেটি রানি শুভেচ্ছা জানাচ্ছে

চলন্ত মাইক্রো থেকে তুলা
স্ট্যাচুটা দেখলেই মনে হয় - সিলেটি রানি শুভেচ্ছা জানাচ্ছে:::::
সিলেটি রাস্তা আসলেই মনোমুগ্ধকর ;;;;;;;;;
ছবিটি চলন্ত মাইক্রো থেকে তুলা!!!!

Credit- Arafath Towshik

শিকলবাহা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশে সুন্দর রাস্তাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম

শিকলবাহা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
রাস্তা তো নয় যেন মাখন grin emoticon
বাংলাদেশে সুন্দর রাস্তাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম heart emoticon 
সময়ঃ ভোর ৫.৩০ 
Credit- Zahedul Arefin

যারা চট্রগ্রাম থাকেন অথবা আসবেন-

* ভুলেও দস্তগীর হোটেলের গরুর নলা মিস করবেন না। তবে সমস্যা হল, এই নলার জন্য লাইন দিতে হয় ফজরের নামাজের পর পর। সিটি কর্পোরেশনের সামান্য আগেই দস্তগীর হোটেল।
* ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব যেতে, রাস্তার মুখের মধ্যেই একটি চটপটি বিক্রী হয়, সন্ধ্যার পর থেকে। দুনিয়ার সেরা! এক প্লেট ১৫ টাকা। আমি নিশ্চিত ২ প্লেট না খেয়ে আপনি দোজখেও যেতে চাইবেন না। (তবে ঝাল একটু বেশিই, যারা ঝাল সহ্য করতে পারেন না, তাদের জন্য সতর্কীকরণ)
* বোস বাবুর মিষ্টির দোকানের দুধের ছানা না খেলে আপনার মিষ্টি জগত শূন্য, নন্দনকানন পুলিশ প্লাজার নীচেই এই শতবর্ষী

যাঁরা এই শীতে সেন্টমার্টিন যাবেন ভাবছেন, কিভাবে কম খরচে যাবেন একটা নির্দেশনা দিই-

চট্টগ্রাম শহরের সিনেমা প্যালেস থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বাস আছে। রাত ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত গাড়িগুলো চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। ভাড়া ৪০০ টাকা। সকাল ৭ টা'র মধ্যে আপনি টেকনাফ জেটিতে পৌঁছাবেন। এখান থেকেই লঞ্চগুলো সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে লঞ্চের টিকেট আগে করে রাখা ভাল। লঞ্চের টিকেট করবেন স্ট্যান্ডিং। কারণ, সিট থেকে আপনি সমুদ্রের দু'পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন না। আসা-যাওয়া সহ টিকেট প্রতি পড়বে ৫৫০ টাকা। দু'ঘন্টা লঞ্চ ভ্রমণ শেষে আপনি সেন্টমার্টিন পৌঁছালে, হোটেল ভাড়া ওখানে গিয়েই করতে পারবেন। হোটেল(কর্টেজ) ভাড়াও খুব বেশি না। ডাবল বেডের একরুম ৩০০ এর বেশি কখনও দিবেননা। সেন্টমার্টিনের মানুষগুলোও অনেক ভাল। খাবারের ব্যাপারে বলবেন, আপনি প্যাকেজে খেতে চান। অর্থাৎ, ডাল,ভর্তা, সব্জি,মাছ এবং ভাত। সব মিলিয়ে ৭০- ১২০টাকার এর বেশি দিবেন না প্লেট প্রতি। আর, পুরা সেন্টমার্টিন দ্বীপটি ঘুরতে চাইলে সাইকেল ভাড়া করুন ঘন্টা প্রতি ৫০ টাকা। এক থেকে দেড় ঘন্টায় আপনি পুরো দ্বীপটি চষে বেড়াতে পারবেন। আর, যদি সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়াদ্বীপ যেতে চান, তাহলে ঘাটে ট্রলার থেকে পারবেন। যাওয়া-আসা ১০০ টাকার বেশি দিবেন না। যদি এর বেশি খরচ করেন, তাহলে আপনি ঠকেছেন। আপনার ভ্রমণ নিরাপদ হউক।
 

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

বান্দরবান ঘুরতে আসার জন্যে ট্যুর প্ল্যান

 
বান্দরবান ঘুরতে আসার জন্যে ট্যুর প্ল্যান-
কাদের জন্যে এটা প্রযোজ্য?
- যারা প্রথমবারের মত বান্দরবান যাবেন
- যারা ফ্যামিলি মেম্বারদের মেঘ আর পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখাতে চান
- খুব সহজে বান্দরবানের সবচাইতে জনপ্রিয় জায়গা গুলো ঘুরে আসতে চান
‪#‎সময়ঃ‬ এক রাত দুই দিন
‪#‎বাজেটঃ‬ ৪০০০-৪৫০০ টাকা ।
(এক সাথে ৪-৫ জন বা ১০-১২ জন আসলে বেটার ।)
১ম দিন সকালে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে নাশ্তা করে মেঘলা, নিলাচল/ টাইগার হিল, স্বর্ণ মন্দির এসব দেখতেপারেন।
যদি আপনারা ৭-৮ জন বা ১০-১২ জন হয়ে থাকেন তাহলে একটা জীপ/চান্দের গাড়ি সারা দিনের জন্যে রিজার্ভ নিতে পারেন । ৭ সিটের গাড়ি ১০০০ টাকা আর ১৪ সিটের গাড়ি ১৪০০ টাকা নিবে । শেষ স্পট নীলাচল রাখবেন যাতে বিকেলটা ওখানে কাটানো যায় ।
(একা বা ২-৩ জন হলে সিএনজিতে চড়তে হবে)
রাতে বান্দরবান শহরটা ঘুরে দেখবেন এবং ওখানেই থাকবেন । বান্দরবানে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে, যে কোন একটাতে উঠে পড়ুন । ৩০০/৫০০ টাকায়ও সিঙ্গেল রুম পাওয়া যায় ।
২য় দিন একটা জীপ/চান্দের গাড়ি ভাড়া করে চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলগিরি ঘুরে আসতে পারেন । চান্দের গাড়িতে সর্বোচ্চ ১২/১৩ জন উঠতে পারবেন, টোটাল ভাড়া নিবে ৩৮০০-৪০০০ ।
আপনার বাজেট যদি একটু বেশি হয় এবং কিছুটা আরামপ্রিয় হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ল্যান্ড ক্রুজারে করে যেতে পারেন, একটাতে সর্বোচ্চ ৮ জন উঠতে পারবেন, ভাড়া ৪০০০-৪২০০ টাকা নিবে ।
(টাকা যাই হোক অবশ্যই ভাল মত দরদাম করে নিবেন, আর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভাড়া আরও বেশি নিবে)
ঐদিন রাতের বাসে ঢাকায় পথে রওনা দিবেন । মনে চাইলে ঐ রাতে বাসে করে চট্টগ্রাম এসে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরতে পারেন, মজাটা বেড়ে যাবে কয়েক গুণ । কিন্তু আগে থেকে ট্রেনের টিকেট কেটে না রাখলে এটা সম্ভব না ।
তবে বান্দরবান এর আসল ঐশ্বর্য দেখতে হলে আপনাকে আরও একটু ভিতরে ঢুকতেহবে। ২/৩ দিন পাহাড়ে হাঁটাহাঁটিকরতে হবে। বগালেক, জাদিপাই, নাফাকুম, আমিয়াকুম না দেখা মানে বান্দরবানের আসল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত থাকা । কিন্তু এইসব জায়গায় সবার দ্বারা যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা, ট্রেকিং করা লাগে অনেক , তবে আপনার মনোবল যদি অনেক শক্ত থাকে তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এসব জায়গার জন্যে আজকেই প্রস্তুত হতে পারেন । আপনাদের হাতে সময় না থাকলে উপরের প্ল্যান মতই আপনারা ঘুরতে পারেন ।
আর যদি আপনাদের বাজেট একটু বেশি হয় তবে আপনারা নীলগিরি রিসোর্টে থাকতে পারেন, তাহলে আপনারা খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঘ দেখতে পারবেন, ভাগ্য ভাল থাকলে নিজ হাতে ছুঁয়েও দেখতে পারবেন । প্রতি রাত ৫০০০ টাকার কমে নীলগিরিতে থাকা যায়না, টার উপর অনেক আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে হয় ।
যদি রাতে বান্দরবান শহরে থেকে নীলগিরির মেঘ দেখতে চাইলে আপনাকে খুব ভোরেই জীপ/চান্দের গাড়িতে করে নীলগিরির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে, বেশি দেরি করলে মেঘ দেখতে পারার চান্স কম ।
 
এছাড়াও বান্দরবান সহ পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব দর্শনীয় জায়গা আছে যেমন নাফাকুম, আমিয়াকুম, বগালেক, জাদিপাই, কাপ্তাই লেক, সাজে ভ্যালি, আলুটিলা, শুভলং, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই সহ অপরিচিত বা অল্প পরিচিত অসংখ্য সুন্দর সুন্দর স্থান, আমরা ধারাবাহিক ভাবে সব গুলো স্পটে যাওয়ার উপায়, থাকা খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট করবো, বান্দরবান সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি) দারুণ দারুণ সব জায়গা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন । আমাদের Visit Bandarban পেজে লাইক দিয়ে রাখুন, ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করুন ।
আর কখনো যদি ভ্রমণ বিষয়ক কোন তথ্য বা পরামর্শ দরকার হয় তবে আমাদের ইনবক্সে নক করবেন, যত দ্রুত সম্ভব রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।
ছবিঃ উৎসব চাকমা, ইফতেখার নিবিড়

এই শীতে যাঁরা সেন্টমার্টিন যাবেন

এই শীতে যাঁরা সেন্টমার্টিন যাবেন :-
১. অবশ্যই সাইকেল ভাড়া করে পুরা দ্বীপটি ঘুরে দেখবেন। পুরা দ্বীপটি ঘুরতে এক দেড় ঘন্টার বেশি লাগবেনা। ঘন্টা প্রতি ৫০ টাকা নিবে।
২. যাঁরা বর্শী দিয়ে মাছ ধরতে জানেন। তাঁরা পারলে বর্শী নিয়ে যাবেন। আমরা বর্শী দিয়ে ২ কেজি ওজনের কালা চাঁদা মাছ ধরেছিলাম। পরে এই মাছ "পৌষী " রেস্টুরেন্ট এ রান্না করিয়েছি। তাঁদের মোট ৩০০ টাকা দিয়ে, আমরা ৭ জন লাঞ্চ করেছি। সাথে ভাত, ভর্তা, ভাজি এবং সালাদও ছিল।
অন্য এক মহিলা ছেঁড়া দ্বীপ থেকে ধরলেন প্রায়ই একি ওজনের কোরাল মাছ। মাছ ধরে তিনি বলেন, এটা তেলাপিয়া মাছ। tongue emoticon
৩. অবশ্যই একটা রাত থাকার মত প্রিপারেশন নিয়ে যাবেন। কারণ, সেন্টমার্টিন এর রাতের সৌন্দর্য অসাধারন। পূর্নিমা হলে ডিফারেন্ট ফ্লেবার।
৪. ঠিক সূর্যোদয়ের পরের মুহুর্তটুকুতে দ্বীপের জেটিতে এসে (যেখানে শীপ এসে থামবে) নিচের পানির দিকে তাকাবেন। যা দেখবেন, তা পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন না। এমনকিছু দেখবেন, যা সারাজীবন অন্যকে বলতে পারবেন এবং আগে কখনও দেখেন নি। এটা সারপ্রাইজ থাকলো। wink emoticon
৫. অবশ্যই সেন্টমার্টিন এর পরিবেশের সুরক্ষার প্রতি নজর দিবেন। এমণ কিছু করবেন না, যাতে পরিবেশের ক্ষতি হয়।
ধন্যবাদ smile emoticon

সুনামগঞ্জের মাথা নষ্ট কিছু যায়গা, যা চেনেনা অনেকেই

অনেকেই টাংগুয়ার হাওড়ে যায় কিন্তু জানেনা এর পাশেই কি মিস করছে! সবার প্রতি অনুরোধ সুনামগঞ্জ গেলেযাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা, শাহ আরেফিনের মাজারের পেছনের ঝরনা, লাকমাছড়া, টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির নীল পানির লাইমস্টোন হ্রদটা (আমরা নাম দিয়েছি নীলাদ্রী) দেখে আইসেন। অনেকেই এই যায়গা গুলো সম্পর্কে জানেনা, কিন্তু সত্যিই মন প্রশান্ত করে দেয়ার মত যায়গা। আর লাকমাছড়া ঝরনাটা বর্ষায় একেবারে সেম টু বিছানাকান্দি। ঝর্ণার শ্রোতে গোছল করতে পারবেন সাতার না জানা মানুষেরাও। বারেক টিলা থেকে টেকেরঘাটের রাস্তাটি চলে গেছে একেবারে মেঘালয়ের কোল ঘেষে, এক পাশে পহাড়ের মাথায় মেঘ আর পাথুরে রাস্তা, আর টেকের ঘাটে পৌছলে আরেক পাশে পাবেন বিস্তির্ন হাওড়। যায়গাটা সপ্নের মত লাগে।
 ঐখানকার ইত্তেফাক প্রতিনিধি সিদ্দিক ভাই এ ব্যাপারে খুবই হেল্পফুল। উনি ভ্রমনের ব্যাপারে আপনাদের হেল্প করবেন। একেতো উনি ওখানকার একজন প্রভাবশালী লোক, আর এই যায়গাগুলোকে পরিচিত করতে উনি দিন রাত পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন। তাই নিরাপত্তা ও পথ নির্দেষনা দুটোর ওনার থেকে পাওয়া যাবে।
 আর মিঠু ভাই নামের একজন বাইক চালক আছেন উনি ঐ এলাকার প্রথম বাইক চালক। ওনার হাত ধরেই ঐ এলাকায় পর্যটকরা যাতায়াত শুরু করেছেন। উনি খুব ভাল গাইডও, কিন্তু গাইডনেসের জন্য পয়সা দিতে হয়না (আর ওখানে ঘুরতে গাইডের প্রয়োজনও নেই)। ওনাকে মটরসাইকেলের প্রচলিত ভাড়া দিলেই হবে। উনি টাংগুয়ার হাওরের জন্য কম দামে নৌকাও ঠিক করে দিতে পারবেন। বাড়তি কোন ঝামেলাই করতে হবেনা। সুনামগঞ্জ থেকে সব দেখে আবার সুনামগঞ্জ ফিরতে সারাদিনেরে জন্য ওনার বাইক নিয়ে নিলে দুইজনে ১০০০ টাকা দিলেই হবে। আর যদি মাঝে ছেড়ে দেন আবার আসার সময় ফোন দিয়ে নিয়ে আসেন তো ৮০০ই যথেস্ট। তবে সারাদিনের জন্য নিয়ে নেয়াই ভাল।
 
আপনি যদি সুনামগঞ্জ যেতে চান তাহলে আপনার একদিনের টুর প্লান হতে পারে এমন (বা শুরু করতে পারেন উল্টো দিক থেকেও):
 
#‎সুনামগঞ্জ থেকে বাইকে সাহ আরেফিনের মাজারে গিয়ে ঝরনা দেখা।
#‎সেখান খেকে লাউড়ের গড় বাজার (জাদুকাটার নৌকা ঘাট)।
#‎এরপর খেয়ায় নদী পাড় হয়ে বারেক টিলায় ঘোরাঘুরি। (খেয়া বারেক টিলার গায়েই ভিরবে)
#পরে টেকেরহাট চুনাপথর খনির নীল লেক (আমরা নাম দিয়েছি নিলাদ্রি), এই রাস্তাটি চলে গেছে একেবারে মেঘালয়ের কোল ঘেষে, এক পাশে পহাড়ের মাথায় মেঘ আর পাথুরে রাস্তা, সপ্নের মত লাগে- লেকে গোছল করে সেখান থেকে ভিজা ভবস্থাতেই বাইকে চড়ে লাকমাছড়া ঝরনা।#‎ঝরনার ঢলে গোছল করে কাপড় চেঞ্জ করে টেকেরঘাট বাজারের হোটেলে খাওয়া, পরে সেখান থেকে সন্ধায় ঐ বাইকেই তাহিরপুরের টাংগুয়ায় গিয়ে রাতে নৌকায় রাত্রি যাপন অথবা সুনামগঞ্জ ফেরত।
 
টেকেরঘাটে হোটেল আছে, ২০০ করে পারহেড, বাইক চালকই ঠিক করে দিতে পারবে। আর যদি কেউ চান মাজারে ভালো পরিবেশে ৪-৬ জন ফ্রি থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া যাবে।
 
 
Credit-  Redwan Khan

পাহাড়, নদী এবং চা বাগানের এক অসাধারণ সমন্বয় লালাখাল

    পাহাড়, নদী এবং চা বাগানের এক অসাধারণ সমন্বয়
    লালাখাল। সিলেট শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দুরত্বে
    অবস্থিত এই লালাখালের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে
    বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর নদীগুলোর একটি সারি নদী।
    এই নদীর পানি বছরের বেশীরভাগ সময় নীলাভ সবুজ থাকে,
    বিশেষ করে শীতকালে সবুজাভ রং বেশী উজ্জ্বল দেখায়। এই নদীর পাড়েই গড়ে উঠেছে Nazimgarh Nature Park। এই
    পার্কের অন্যতম আকর্ষন হল আধুনিক তাবুতে রাতি যাপন।
    সারিবদ্ধ তাবুগুলোর সামনের বিস্তৃত খোলা মাঠে আয়োজন
    করা হয় বারবিকিউ পার্টি, ক্যাম্প ফায়ারিং এবং নানা
    ধরনের খেলাধূলা সহ অনেক কিছু। প্রতিটি তাবুতে ২-৩ জন
    থাকার জন্য আছে আলাদা বিছানা, আসবাবপত্র এবং পূর্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তাবু গ্রাউন্ডের পাশেই বালুময় সৈকত
    এবং নিলাভ সবুজ সারি নদীতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য কেনু-   
    কায়াকিং এবং বোট রাইডের ব্যাবস্থা আর পার্কের ভিতরে
    আছে এটিভি বাইকে ঘুরার ব্যাবস্থা।

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

Honey collection in Sundarban


Honey collection in Sundarban
Honey collection in SundarbanVideo: BBC
Posted by Clickittefaq.com on Friday, 6 November 2015
Honey collection in Sundarban

Video: BBC
 

সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫

সাজেকের পথ

সাজেকের পথ
                                                                     Tanweer Morshed

শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

আমিয়াকুম, যেখানে গেলে পাবেন স্বর্গীয় সৌন্দর্যের ছোঁয়া, মনে হবে যেন এক অন্য পৃথিবীতে আসলাম।

আমিয়াকুম

যেভাবে যাবেন-
প্রথমে বাসে চড়ে বান্দরবান যাবেন; কল্যানপুর/কলাবাগান/সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন বাস যায়
বান্দরবান শহরে পৌঁছলে তারপর থানচি যাবেন লোকাল বাস বা চান্দের গাড়িতে করে । থানচি থেকে গহীনে যেতে আপনাকে গাইড নিতে হবে, গাইডই আপনাকে সব জায়গা ঘুরে দেখাবে ।

আর হ্যাঁ, এই রুটেই আছে তিন্দু, বড় পাথর, রাজাপাথর, নাফাকুম-সাতভাইকুমের মত বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা, ওগুলাও ঘুরে আসবেন সাথে । অন্তত বাংলাদেশের নায়াগ্রা খ্যাত নাফাকুম জলপ্রপাত যেন মিস না যায় । ৪-৫ দিন সময় হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন বাংলাদেশের স্বর্গের উদ্দেশ্যে।

মেঘের সাথে খেলা -- কেওক্রাডং এর চূড়ায়

কেওক্রাডং এর চূড়ায়
                                                                              ছবি- পার্থ এস মণ্ডল

প্রান্তিক লেক, বান্দরবান।

প্রান্তিক লেক

Hello Bangladesh


 
Bangladesh, a land of exhilarating mix with fascinating history, vibrant cultures, panoramic beauties, historical ruins, flora and fauna, hills and forests, sandy sea beaches and wildlife, is waiting to welcome you on the occasion of ‘Visit Bangladesh 2016′.

আদিবাসীদের জুমঘর দেখতে কেমন তা হয়তো অনেকেই জানেনা, তারই ছোট্ট একটি নমুনা।

আদিবাসীদের জুমঘর
                                                                            ছবিঃ ফয়সাল আহমেদ

দার্জিলিং পাড়া, বান্দরবান

দার্জিলিং পাড়া
                                                                   Credit- রায়হান সাঈদ

সবুজ পাহাড়ের বুকে মেঘের উড়াউড়ি দেখতে চাইলে চলে আসতে পারেন এখানে- -নীলাচল।

নীলাচল
                                                                               ফটোঃ টুটুল চৌধুরী

নাফাকুম যাওয়ার পথে চোখে পড়বে এমন সব দারুণ দারুণ দৃশ্য। যেভাবে যাবেন-

তিন্দু-রেমাক্রি-১
 
   নাফাকুম যাওয়ার পথে চোখে পড়বে এমন সব দারুণ দারুণ দৃশ্য ।
   Location: তিন্দু-রেমাক্রি ।
   Photo: যোবায়ের শোয়েব
তিন্দু-রেমাক্রি-২
যেভাবে যাবেন-
  প্রথমে বাসে চড়ে বান্দরবান যাবেন; কল্যানপুর/কলাবাগান/সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন বাস যায়
  বান্দরবান শহরে পৌঁছলে তারপর থানচি যাবেন লোকাল বাস বা চান্দের গাড়িতে করে । তারপর নৌকায় চড়ে      তিন্দু, রাজাপাথর, রেমাক্রি ।
তিন্দু-রেমাক্রি-৩



থানচি থেকে গহীনে যেতে আপনাকে গাইড নিতে হবে, গাইডই আপনাকে সব জায়গা ঘুরে দেখাবে ।
আর হ্যাঁ, এই রুটেই আছে সাতভাইকুম-আমিয়াকুমের মত বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা, ওগুলাও ঘুরে আসবেন সাথে ।
 
 

কয়েক মিনিটের জন্যে যদি সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘের মাঝে হারিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার জন্যে ছোট্ট এই ভিডিও ।

 
 
 
                                                        Location: Nilgiri, Bandorban

জাদিপাই ঝর্না, অনেকের মতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আর সুন্দরতম ঝর্না। কিভাবে যাবেন জেনে নিন-


 কিভাবে যাবেন?
(একই সাথে বগালেক কেওক্রাডং সহ)
##‪#‎দিন_১‬ –বান্দরবনশহরে পৌঁছে নাশ্তা করে একটা জীপ নিতে হবে রুমা বাজার পর্যন্ত। টাকা ২০০০/২৫০০ লাগবে। পৌছতে ঘন্টা দেড় লাগবে। সেখানে পৌঁছে গাইড নিতেহবে। গাইডের কয়েকটি সমিতি আছে। যেকোনো একটা থেকে একজনগাইড নিতে হবে। কেওক্রাডং পর্যন্ত গেলে দৈনিক ৪০০ করে মোট ১২০০টাকা লাগবে। জাদিপাই গেলে প্যাকেজ ২০০০/২৫০০ টাকার মত। তাদের দেয়া ফর্ম পুরনকরে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে সেখানে নাম এন্ট্রি করতে হবে। তারপর দ্রুত গাইডের সাথেগিয়ে জীপ ভাড়া করতে হবে বগা লেক যাওয়ার জন্য। ভাড়া ২০০০ টাকা। তবে বর্ষাকালে গাড়ি বগা লেকপর্যন্ত যায় না।
বগা লেকে ওঠার শেষ রাস্তাটুকু পার হতে অনেক কষ্ট হবে। খাড়া পাহাড়ে উঠতে হবে। আসলে এই জায়গাটুকু পারহতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সবার। কারন, সারারাত জার্নি করে, হইচই করে সবাই খুব ক্লান্ত থাকে। একারনেই কিছু মানুষ বগা উঠেই সিদ্ধান্ত নেয় আর আগাবে না। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমি অনেক বাঘা বাঘা ট্রেকারদেরজিজ্ঞাসা করে দেখছি। ট্রিপের প্রথম দিন বগায় উঠতে সবারই অনেক কষ্ট হয়। ২য় দিন থেকে আর এত কষ্টহবে না।
বগায় পৌঁছে সিয়াম দিদি/ লারাম বা অন্য কারও কটেজেউঠতে হবে। কটেজ আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভালো। এরপর লেকে গোছল করে বাকি দিনরেস্ট। এখন যেহেতু রুমা যেতে নৌকা লাগে না সেহেতু বেলা ১১/১২ টার মধ্যে বগায় পৌঁছে অনেকেই আরও সামনে এগিয়ে যায়। তবে যারা প্রথমবার যাচ্ছে, তাদের বগায় ১ম রাত থাকা উচিৎ। স্থানটা অনেক সুন্দর। (এখানে সেনেটারি টয়লেটআছে)।
 
 
 
##‪#‎দিন_২‬ (একটুখানিএডভেঞ্চার ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিমভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতে হবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতেহবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। কোন ঝর্নাতেই ১০/১৫ মিনিটেরবেশি সময় দেয়া যাবে না। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা পরে পাবে কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” পাহাড়। চুড়ায় ওঠার আগেই লালার হোটেলে দুপুরের খাবারঅর্ডার ও রাতে থাকার বুকিং দিয়ে দিবেন।
তারপরে ১০ টার ভিতরে দুপুরের খাবার খেয়ে পাসিং পাড়া হয়ে জাদিপাইপাড়া হয়ে জাদিপাই ঝর্না। কেওক্রাডং থেকে জাদিপাই যেতে কোন পাহাড়ে ওঠানাই, শুধু নামা আর নামা। ঘণ্টা ২/২.৩০ লাগবে পৌছাতে। শেষ ২০০ ফিট সাবধানে নামতেহবে। ৫০ ফিট পাটের মোটা দড়ি/কাছিসাথে করে নিয়ে গেলে এখানটায় নামতে সুবিধা হবে। লোকে বলে জাদিপাইনাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্না। কথাটির সাথে আমিও দ্বিমত নই। দেখলে আপনিও বোধ করি দ্বিমত করবেন না।
 
ছবিঃ Ruhul Sumon Hunter & Imran Bin Mazhar

পদ্মঝিরি, থানচি। গহীনে নির্জন অরণ্য, সুনসান নিরবতা, সূর্যালোকের উঁকিঝুঁকি।

 
পদ্মঝিরি, থানচি
Credit- মেহরাজ হোসেন তপু

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫

বিলাশবহুল ক্রুজ যা দিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন সেন্টমারটিন ও সুন্দরবন

Keari Cruise

কেয়ারী ট্যুরিজম আপনাদের জন্য এনেছে বিলাশবহুল ক্রুজ যা দিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন সেন্টমারটিন ও সুন্দরবন ।তাদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ট্যুরিষ্টদের জন্য বড় পাওয়া ।এধরনের নতুন জাহাজ আমরা আরও চাই ।আনন্দ ও নিরাপদের সাথে ঘুরে দেখতে চাই অপরূপ সুন্দর এই বাংলাকে ।


ঢাকার আশেপাশে এক দিনের ছোট একটা ট্যুরের জন্যে মাওয়া ফেরী ঘাট হতে পারে আদর্শ
Keari Sinobad


ক্লিক্স ফ্রম ডাওকি ব্রিজ, শিলং, ভারত

ডাওকি ব্রিজ এর অপর পাশে
ক্রেডিট- Mizanur Rahman
পাথরটার ক্লোজ ভিউ
ক্রেডিট- Sadiul Islam Antor 


পাথর এর সাইড থেকে তোলা ব্রিজের নিচের ভিউ
ক্রেডিট- Sadiul Islam Antor




 

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫

জাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা - সুনামগঞ্জ

জাদুকাটা নদী
Credit- Ruhul Amin Sumon

ঢাকার আশেপাশে এক দিনের ছোট একটা ট্যুরের জন্যে মাওয়া ফেরী ঘাট হতে পারে আদর্শ জায়গা

মাওয়া
ঢাকার আশেপাশে এক দিনের ছোট একটা ট্যুরের জন্যে মাওয়া ফেরী ঘাট হতে পারে আদর্শ জায়গা। প্ল্যান টা হতে পারে এইরকম। সকালে গুলিস্থান থেকে লোকাল বাস এ করে সরারসরি মাওয়া ঘাটে চলে যান। দুপুরে কোন হোটেলে পছন্দ মতো তাজা ইলিশ মাছ কিনে (অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন) তা ভেঁজে পদ্মার পাড়ে বসে খেয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ আরাম করে নিন। বিকেলে ১৫০টা জনপ্রতি টিকেট করে লোকাল স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে চলে যান কাওরাকান্দি লঞ্চ ঘাটে। স্পিডবোট থেকেই লাইফ জ্যাকেট দিবে, সাথে করে নেবার দরকার নেই। নিরাপত্তার জন্যে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিবেন। পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ে এই স্পিডবোটে ভ্রমণটা বেশ উপভোগ করার মতো। । প্রথম প্রথম কেউ উঠলে ভয় পেতে পারেন। কাওরাকান্দি লঞ্চ ঘাটে একটু সময় ঘুরে সন্ধ্যার আগেই কোন এক ফেরীতে উঠে পড়তে পারেন মাওয়া ঘাটে ফিরে আসার জন্যে। ফেরীর ছাদে বসে পদ্মার রূপ আর জেগে উঠা চরে কাশফুলের সমারোহ সাথে পদ্মায় সূর্যাস্তের দৃশ্য মনে রাখার মতো। সন্ধার পর মাওয়া ঘাটে এসে আবার ফিরতি বাস এ চলে আসেন ঢাকায়।

Credit- Shohan



 

Blogger news

Blogroll

About