শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

যারা চট্রগ্রাম থাকেন অথবা আসবেন-

* ভুলেও দস্তগীর হোটেলের গরুর নলা মিস করবেন না। তবে সমস্যা হল, এই নলার জন্য লাইন দিতে হয় ফজরের নামাজের পর পর। সিটি কর্পোরেশনের সামান্য আগেই দস্তগীর হোটেল।
* ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব যেতে, রাস্তার মুখের মধ্যেই একটি চটপটি বিক্রী হয়, সন্ধ্যার পর থেকে। দুনিয়ার সেরা! এক প্লেট ১৫ টাকা। আমি নিশ্চিত ২ প্লেট না খেয়ে আপনি দোজখেও যেতে চাইবেন না। (তবে ঝাল একটু বেশিই, যারা ঝাল সহ্য করতে পারেন না, তাদের জন্য সতর্কীকরণ)
* বোস বাবুর মিষ্টির দোকানের দুধের ছানা না খেলে আপনার মিষ্টি জগত শূন্য, নন্দনকানন পুলিশ প্লাজার নীচেই এই শতবর্ষী দোকানের অবস্থান।
* নেভাল বীচের পেঁয়াজুর মধ্যে আফিমের মত একটা নেশা আছে। প্রথমে আপনার খেতে ইচ্ছে করবে না, যদি একটা কোনমতে মুখে দেন, আর পায় কে! মিনিঙ্কানন২০/২৫ পিস অটোমেটিক খাওয়া হয়ে যায়!
* অনেকেই আমেরিকা-ইউরোপ থেকে আগ্রাবাদ ওরিয়েন্ট রেস্টুরেন্টে এক কাপ চা খেতে আসেন-প্রবাদ বাক্য।
* ১ পিস ১০ টাকা/২০ টাকা, লাভ লেইনের এই পানের বৈশিষ্ট্য, পান খাচ্ছেন না নাশপতি খাচ্ছেন, প্রশ্নসাপেক্ষ।
* বাতিঘর বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ এবং বৃহত্তম লাইব্রেরী। শনি থেকে বৃহঃ বার এখানে সন্ধ্যা ৬ থেকে ৭ টা পর্যন্ত সিঙ্গারা পাওয়া যায়, দাম ১০ টাকা। এই সিঙ্গারা তৈরী হয় চিটাগাং ক্লাবে। বিশ্বাস করুন, আমি প্রায় সময় ৪ পিস খাই। কারণ, এক বিশেষ শ্রেণির সসের কারনে সিঙ্গারাকে তরমুজের মত লাগে।
* বুধবার চকবাজার জামানে, সোমবার কোর্ট বিল্ডিং জামানে, মঙ্গলবার মুরাদপুর জামানে মেজবানী মাংস পাওয়া যায়। দূর্দান্ত!
* জামালখানের লিচুতলার বিসমিল্লাহ জুস ঘরের লেবু-পুদিনা শরবতের তুলনা, তেঁতুলের নাম মুখে আসলে জিহবায় যে জল আসে শুধুমাত্র সেই জিনিসের।
* মিমি মার্কেটের নীচের ফ্লোরে দই ফুচকা পাওয়া যায়। মেয়েদের ঝাঁকের মাঝে নিজেরই অনেক সময় সংকোচ লাগে, আরেক প্লেট খাব নাকি, দেখে ফেলছে নাতো!
ওরা খায় হেসে হেসে
আর আমি খাই, চোখ বন্ধ করে, আবেশে!

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 

Blogger news

Blogroll

About