বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারের একটি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ
মিনার। নতুন ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের মাঝখানে টিলার উপর লেকসাইডের কোল ঘেষে শহিদমিনারটি অবস্থিত। সিলেটে শহর থেকে বিভিন্ন মানুষ অর্ধ সমাপ্ত এ শহীদ
মিনারটি দেখতে সিকৃবি ক্যাম্পাসে আসেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী প্রফেসর স্থপতি রাজন দাশ শহীদ
মিনারটির ডিজাইনার। তিনি এর নাম দিয়েছেন সূর্যালোকে বর্ণমালা। সকালে সূর্যালোকে মিনারটি ছায়াচ্ছন্ন অস্পষ্ট থাকে এবং সূর্যের দিন পরিক্রমায় ক্রমশ সে আলোকিত ও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এদেশের বীর সন্তানরা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁরা যদি সূর্য সন্তান হন তবে দিনের প্রদক্ষিনে আলো, আঁধারের এই খেলা যেন সূর্যের সঙ্গে তার সন্তানদের অনির্বচনীয় কথপোকথন। এই মিনারের শিরোনাম তাই
সূর্যালোকে বর্ণমালা।
আসলেই যেন বর্ণমালারা রোদ পোহায় এই শহীদ মিনারে। শক্ত মেরুদন্ডে ভাষা শহিদের বর্ণ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখানে। শহীদ মিনারটির দূর থেকে কিছু বর্ণমালা খুব স্পষ্ট দেখা যায়। কাছে আসলে কুঠুরিতে আরো ছোট ছোট বর্ণের সমাহার।
জাতীয় দিবস উদযাপনসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এ শহীদমিনারে অনুষ্ঠিত হয়। সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, “শহীদমিনারে আসলে যেন প্রাণ পাই। যে ভাষার জন্য বাঙালি রক্ত দিয়েছে, সে ভাষা সৈনিকদের কথা ভেবে এখানে মাথা নুয়ে আসে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সারা ক্যাম্পাস মিছিল করে আমরা এখানে ফুল দিতে আসি।” কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু এই শহিদমিনার। এই বেদীতেই আমরা আয়োজন করি গানের আড্ডা কিংবা কবিতার আসর। ”
ছবি কৃতজ্ঞতা: শুভ, ফাগুন, মিজান, রাব্বী
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন