রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

ঢাকা - চাঁদপুর লঞ্চ ভ্রমন ইনফো (Updated)

ঢাকা থেকে চাঁদপুর যেতে এভারেজ ৪ ঘন্টা লাগে, কম/বেশি লাগতে পারে। এর সব চেয়ে বিলাস বহুল লঞ্চ হচ্ছে ২ টি একটা হচ্ছে রফরফ-২ অন্যটা ময়ূর-৭। এগুলোর ভাড়া- চেয়ার নন এসি- ১৩০ টাকা, এসি চেয়ার-২২০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন-৪০০-৫০০, সিঙ্গেল কেবিন এসি- ৫০০-৬০০, ডাবল কেবিন-৮০০, ফেমিলি কেবিন-১১০০, ভি আই পি কেবিন - ২০০০, ময়ূর ৭ ঢাকা থেকে ছাড়ে দুপুর- ১.৩০, চাঁদপুর থেকে রাত ১২.১৫। রফ রফ-২ ঢাকা থেকে রাত ১২.০০ টায় চাঁদপুর থেকে দুপুর ১২ টা। ময়ূর-২ ও ময়ুর-৭ এর ফোন নং- ০১৭৫৯ ৯৪৪ ১৪৪, রফ রফ -২ এর ফোন নং- 01552407100. রফ্রফ-২ এর ইন্টেরিয়র টা অসাধারণ, সিট এবং কেবিন গুলো দেখলে মনে হবে না বাংলাদেশ এর কোন জাহাজ, মনে হবে বাইরের কোন জাহাজ এ আছেন। ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন (পরীক্ষামূলক), এতে মোটামুটি পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ সেভ ইকুইপমেন্ট রয়েছে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য রাডার আছে, হাইড্রোলিক স্টিয়ারিং, সব মিলিয়ে রেটিং ১০ এ ৯। ময়ূর ২ এবং ৭ এর ছাদ টা Just Awesome। ডিজাইন টাও বেষ্ট সার্ভিস ভালো। রেটিং ১০ এ ৮।

চাঁদপুর এর লঞ্চ সব দিক বিবেচনায় বেষ্ট এর ক্রম যথাক্রমে - রফ রফ -২ > ময়ূর -২ > ময়ুর-৭ > সোনার তরী> রফ রফ ১ > আল বোরাক > আবে জম জম আর বাকিগুলোর কি অবস্থা জানি না ভাই। স্পেশাল কিছু জানার দরকার থাকলে ইনবক্স করতে পারেন।

কষ্ট করে হলেও টাইম মেইন্টেন করে ময়ুর-৭ এবং রফ রফ-২ এ রাইড দেয়ার ট্রাই করবেন, আমার কাছে বেষ্ট। ময়ূর- ৭ লঞ্চ এর ছাদে বসে পূর্ণিমা দেখতে দেখতে ঢাকায় ফেরা হতে পারে আপনার কাছে এক স্মরণীয় রাত তবে অবশ্যই শীত ছাড়া কারন শীত এর সময় কুয়াশা এর কারনে কিছু দেখা যাবে না। তবে এই সময়ের মজা অন্য রকম।

ইলিশ ভাজা খেতে পারেন চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট এর কোন লোকাল রেস্টুরেন্ট এ অথবা চাঁদপুর কালীবাড়ি মোড় এর কাছে ক্যাফে করনার এ।

দর্শনীয় স্থানঃ চাঁদপুর বড় স্টেশন মোহনা, (পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়া), রক্ত করবী চত্তর, ইলিশ চত্তর, অঙ্গীকার স্বাধীনতা স্তম্ভ। আরো অনেক কিছু। সকালের লঞ্চ এ গেলে এগুলো দেখে দুপুরের লঞ্চ এ ফিরতে পারবেন।

বর্ণনাঃ

কচুয়া

শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির
সাচার, কচুয়া, চাঁদপুর।

৭৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট  একতলা মন্দিরটির একটি কক্ষে দেব-দেবীর মূর্তি রাখা হয়েছে। অপর কক্ষে ঠাকুরের অবস্থান। বর্তমানে স্থানীয় হিন্দু জনসাধারণের আর্থিক সাহায্যে মন্দিরটিতে  পূজা অর্চণা চলছে।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় যে, মন্দিরটি ১২৭৭ বাংলা সনে শ্রী গংগা গোবিন্দ সেন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথ দেবকে দর্শণের জন্য ভারতের শ্রীক্ষেত্রে যান। অনেক চেষ্টা করার পরও তিনি জগন্নাথ দেবকে দেখতে না পেয়ে মনের দুঃখে কান্নাকটি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েন এবং স্বপ্নে তিনি স্বয়ং জগন্নাথদেব কর্তৃক এইরূপ আশ্বাস পান যে, দেবতা তার নিজ আবাসস্থল সাচারে আবির্ভূত হবেন। এরপর গংগা গোবিন্দ সেন নিজ বাড়িতে আসার কয়েকদিন পর তার বাড়ির পার্শ্বস্থ দীঘিতে অলৌকিকভাবে ভেসে আসা কিছু নিম কাঠ দেখতে পান। উক্ত কাঠ দিয়ে তিনি সাচার ঐতিহাসিক রথযাত্রা তৈরী করেন এবং উক্ত মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।
জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/মোটর সাইকেল যোগে সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির যাওযা যায়।

মনসা মুড়া
দোয়াটি, কচুয়া, চাঁদপুর।

মাঠের মাঝে ১৩টি বাঁশঝাড় আছে এবং উক্ত ঝাড়ের চতুর্দিকে অনেক সাপের গর্ত রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার ৪ নং সহদেবপুর ইউনিয়নের দোয়াটি গ্রামে মনসা মুড়া অবস্থিত। একদা এক ব্যক্তি মনসা বাঁশঝাঁড় থেকে বাঁশ কেটে নেয়ার পর বার বার স্বপ্নে দেখে যে,  উক্ত বাঁশ ফেরৎ না দিলে তার বংশের কোন লোক বাঁচবে না। তারপর বাঁশ ফেরৎ না দেওয়ায় তার নাকে মুখে রক্ত বের হয়ে সে মারা যায়। পরে তার বংশধরগণ উক্ত বাঁশ ফেরৎ দিয়ে আসে। আরেকটি উলেস্নখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে  মনসামুড়া থেকে সাপ ধরবার জন্য স্থানীয় কিছু লোকজন এক সাপুড়ে বহরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। যখন  সাপুড়ে তার বীণা বাজানো আরম্ভ করে তখন বাঁশের পাতায় পাতায় ছোট ছোট সাপ গর্ত থেকে উঠে আসে। সাপুড়ে একটি সাপ ধরে পাতিলে রাখার সময় উক্ত সাপের কামড়ে  তার মৃত্যু ঘটে এবং অসংখ্য সাপ তার নৌকার দিকে যেতে আরম্ভ করলে সাপুড়ের দল সাপটি ছেড়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে কোন সাপুড়েরা উক্ত স্থানে সাপ ধরতে আসেনা এবং কোনলোক বাঁশের একটি কঞ্চিও কাটেনা।
জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি, অটোরিক্সা বা হুন্ডাযোগে দোয়াটি, মনসা মুড়া দেখতে যাওয়া যায়।

সাহারপারের দিঘী
রহিমানগর, কচুয়া, চাঁদপুর।

কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজার থেকে ৫০০ মিটার দূরে কচুয়া কালিয়াপাড়া সড়ক সংলগ্ন পূর্ব পাশে অবস্থিত ৬১ একর আয়তনের একটি দিঘী। 
১৯৬৯ সালে দিঘীর উত্তর পাড়ে মাটি খনন করতে গিয়ে সাধু বাড়ির জনৈক জয়নাল মিয়া ১৫/১৬টি ৯/১০ ফুট দীর্ঘদেহী মানুষের মাথার খুলি দেখতে পান। উক্ত খুলিগুলো যথাস্থানে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। এছাড়া চতুর্পাড়ে বিভিন্ন সময় মাটি খনন করতে গিয়ে ১২/১৩ হাত লম্বা কয়েকটি খাঞ্জির চাকতি পাওয়া যায়। খাঞ্জিগুলো ছিল তোড়াযুক্ত মোটা বেতের। এ দিঘীর অংশে প্রত্নতাত্তিক অনুসন্ধান চালানো হলে অনেক অনুদঘাটিত তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। 
জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/ মোটর সাইকেলযোগে রহিমানগর সাহারপারের দিঘী দেখতে যাওয়া যায়।


উজানীতে বেহুলার পাটা
উজানী, কচুয়া, চাঁদপুর।

 বেহুলা - লক্ষীন্দরের পাটা  রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। এ শিলাটির একটি খন্ডাংশ বক্তারখাঁর শাহী মসজিদে পশ্চিম পাশে সম্পূর্ণ অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে আছে।

পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে চাঁদ সওদাগরের পুত্রবধু বেহুলার পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামে (তৎকালীণ উজানী নগরে)। উত্তরাংশে বেহুলার পৈত্রিক রাজবাড়ী অর্থাৎ বেহুলার পিতার নামানুসারে রাজবাড়ীটি নামকরণ করা হয়েছে। রাজবাড়ীর দক্ষিণাংশে রয়েছে বেহুলার দিঘীর নামে পরিচিত বেহুলার দিঘী। বেহুলার দিঘীর উত্তর পাড়ে রাজবাড়ী হতে প্রায় ৫০ মিঃ দক্ষিণে বেহুলার ছোটবেলার খেলনার সামগ্রী পুরানো পাথরের নির্মিত শিলা পাথরটি (আঞ্চলিক ভাষায় বেহুলার পাটা) আংশিক বিদ্যমান আছে। দৈর্ঘ্য ৩২ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২৬ ইঞ্চি বিশিষ্ট এ শিলাটির ওজন প্রায় ২৫০ কেজি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ শিলাটি আদি অবস্থার আংশিক মাত্র। কয়েক বছর পূর্বে জনৈক ধোপা এই শিলায় খারাপ কাপড় ধোয়ার সময় শিলা পাটাটি বিকট শব্দে স্থানামত্মরিত হয়ে উজানী গ্রামের দুধখাঁর দিঘীতে পতিত হয়। শিলা পাটাটি পানির ওপর ভেসে উঠে বলে জনশ্রম্নতি আছে।

জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/মোটর সাইকেল যোগে উজানীতে বেহুলার পাটা দেখতে যাওয়া যায়।

তুলাতলী মঠ

তুলাতলী, কচুয়া, চাঁদপুর।

সংস্কার বিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে
কচুয়া উপজেলার ৯ নং কড়ইয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে অবস্থিত। এ মঠ প্রায় শত বছর পূর্বে স্থাপিত হয়ে যা আজও বিদ্যমান রয়েছে।
জেলা সদর থেকে বাসযোগে কচুয়া এবং কচুয়া থেকে সিএনজি/অটোরিক্সা/মোটর সাইকেল যোগে তুলাতলী মঠ যাওয়া যায়।

ফরিদগঞ্জ
সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি
সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ
চাঁদপুর।

জীর্ণ ও পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ

ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই ঐতিহাসিক গ্রামটিতে সাহেবগঞ্জ নীল কুঠিটির জীর্ণ ও পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। জানা যায় যে, সাহেবগঞ্জ ফিরিঙ্গী গোলন্দাজ বণিকেরা নীল চাষের খামার হিসেবে একটি ব্যবসা কেন্দ্র ও শহর গড়ে তুলেছিল। লোক মুখে জানা যায় যে, এটা একটি শিল্প ও বাণিজ্য এলাকা ছিল। গ্রামটির নকশা এবং রাসত্মা-ঘাট, জল নিস্কাশনের খাল, পাকা কালভার্ট, ১২টি স্থানের পুরাতন দালানকোঠার বিভিন্ন নমুনায় এটাই প্রতিয়মান হয়। এখানে নীল চাষ করতে অনিচ্ছুক চাষীদেরকে শাসিত্ম ও ভয় দেখাবার জন্য জেলহাজতও তৈরী করেছিল।  তৎকালীন ফিরিঙ্গি বণিকেরা মধ্যপ্রাচ্য হতে কয়েক জন দর্জিকে এ এলাকায় নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে বিশেষ ধরণের পোশাক তৈরী করত এবং তা বিভিন্ন রং এ রঞ্জিত করে বিদেশে চালান দিত। তখন হতে ঐসকল বিদেশী দর্জিরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরম্ন করে।                                                           
জেলা সদর থেকে  বাস/ সিএনজি/মোটর সাইকেল যোগে সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি দেখতে যাওয়া যায়।

লোহাগড় মঠ
লোহাগড়, ফরিদগঞ্জ
চাঁদপুর।

ডাকাতিয়া নদীর কুলে লোহাগড়া গ্রামে এই মঠটির ধ্বংসাবশেষ
এখনও বিদ্যমান

ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে লোহাগড়া গ্রামের মঠটি কিংবদন্তীর সাক্ষী হিসেবে এখনও দন্ডায়মান। পরম প্রতাপশালী জমিদার পরিবারের দুই ভাই লোহ ও গহড় এতই প্রতাপশালী ছিল যে, এরা যখন যা ইচ্ছা তাই করতেন। এই দুই ভাইয়ের নামানুসারে এই  গ্রামের নাম লোহাগড় রাখা হয়। জনৈক ব্রিটিশ পরিব্রাজক লোহাগড় গ্রাম পরিদর্শনে গেলে তাদের ঐতিহ্য দেখে মুগ্ধ হন।  কথিত আছে, ঐ পরিব্রাজক এর জন্য নদীর কুল হতে লোহ ও গড়ের বাড়ী  পর্যমত্ম দুহাত প্রস্থ ও এক হাত উচ্চতার এবং প্রায় ২০০ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যে বিশিষ্ট সিকি আধুলী মুদ্রা  দিয়ে একটি রাসত্মা নির্মাণ করেন। সাধারণ মানুষ ভয়ে এদের বাড়ীর সামনে দিয়ে  চলাফেরা এড়িয়ে চলত। বাড়ীর সামনে দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে নৌকাগুলো নিঃশব্দে যাতায়াত করত। ডাকাতিয়া নদীর কূলে তাদের বাড়ীর অবস্থানের নির্দেশিকা স্বরূপ সুউচ্চ মঠটি নির্মাণ করেন। তাদের আর্থিক প্রতিপত্তির নিদর্শণ স্বরূপ মঠের শিখরেও একটি স্বর্ণদন্ড স্থাপন করেন।  এই স্বর্ণ দন্ডের লোভে মঠের শিখরে উঠার প্রচেষ্টায় কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেও বলে জানা যায়। এই বৃহৎ স্বর্ণদন্ডটি পরবর্তীকালে ঝড়-তুফানে মঠ শিখর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে পড়ে এবং নদী তটের জমিতে চাষ করার সময় একজন কৃষক এই স্বর্ণদন্ডটি পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। লোক মুখে শোনা যায় এই স্বর্ণদন্ডটি প্রায় আড়াই মন ওজনের ছিল। লোহাগড়ে এই দুই ভাইয়ের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান। এখানে মাটির নীচে একটি গহবর রয়েছে বলে জনশ্রম্নতি আছে। মঠটি এখনও দাড়িয়ে আছে দুভাইয়ের দুর্দামত্ম প্রতাপের নীরব সাক্ষী হয়ে।
 জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি/ মোটর সাইকেল যোগে লোহাগড় যাওয়া যায়।

রূপসা জমিদার বাড়ী
রূপসা, ফরিদগঞ্জ
চাঁদপুর।

পুরাতন জমিদার বাড়ী সংস্কার করে বর্তমানে বসবাস উপযোগী করা হয়েছে।
গ্রামের নাম রূপসা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সুদীর্ঘ ঐতিহ্যই এ রূপের অহংকার। প্রায় দু’শতাব্দি আগের কথা, যখন এ অঞ্চলের বেশীরভাগ জনপদগুলোতে উন্নত সভ্যতার আলোর ছোঁয়া পায়নি । চাঁদপুর জেলার সুপ্রাচীন জনপদ ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা গ্রাম তখনও স্নিগ্ধতায় সমৃদ্ধ ছিল। সমৃদ্ধশালী এ গ্রামটির গৌরবময় ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে ঐ গ্রামেরই ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারের ইতিহাস। ঊনিশ শতকের প্রথমভাগে মোহাম্মদ গাজী এই জমিদার পরিবারের পত্তন করেন। প্রকৃত অর্থে মোহাম্মদ গাজীর সুযোগ্য পুত্র আহমেদ গাজী চৌধুরীর সময়কালেই এ জমিদার পরিবারের বিস্তৃতি ঘটে। সাধারণভাবে জমিদার বলতেই সাধারণ মানুষের মনে যে জমিদারের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে আহমেদ গাজী সে ধরনের জমিদার ছিলেন না । প্রজাহিতৈষী এ জমিদার তার কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দয়া ও দানশীলতা ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি অনেকগুলো জমি ওয়াকফ করে যান। এখানে লাউতলীর দিঘীর ওয়াকফ উলেস্নখযোগ্য। শিক্ষানুরাগী এ জমিদার অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে রূপসা আহমদিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং রূপসা আহমদিয়া মাদ্রাসা উলেস্নখযোগ্য। তিনি ছিলেন খুবই ধর্মানুরাগী। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারকল্পে তিনি অকৃপণভাবে অনুদান প্রদান করতেন। রূপসার সুপ্রাচীন জামে মসজিদ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া তিনি আরো অনেক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি/ মোটর সাইকেলযোগে ফরিদগঞ্জ হয়ে রূপসা।

হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ,
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

দোতলার ভবনের কাজ চলছে

বিরল কারম্নকার্য খচিত কর্মকুশলতার অনন্য নিদর্শণ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ মসজিদগুলোর অন্যতম, জুমাতুল বিদার বৃহত্তম জামাতের মসজিদ হিসেবে খ্যাত হজীগঞ্জে এই ঐতিহাসিক জামে মসজিদটি অবস্থিত। বাংলা একাদশ শতকের কাছাকাছি সময়ে হযরত মকিম উদ্দিন (রঃ) নামে এক বুজুর্গ অলীয়ে কামেল ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব ভূমি হতে স্ব-পরিবারে চাঁদপুরের বর্তমান হাজীগঞ্জ অঞ্চলে আসেন। পরবর্তীতে তারই বংশধর হাজী মুনিরম্নদ্দিন (মনাই গাজী) এর প্র-পৌত্র হাজী আহমদ আলী পাটোয়ারী (রঃ) হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক জামে মসজিদের জন্য জায়গা ওয়াকফ করে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বমোট ২৮,৪০৫ বর্গফুট আয়তনের এই বিশাল মসজিদটির রয়েছে ১৮৮ ফুট উচ্চতার একটি মিনার। মিনারের চুড়ায় উঠার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। অসংখ্য ভক্ত মুসুলস্নী উক্ত মিনারের চুড়ায় আরোহন করে থাকেন। বর্তমানে মসজিদটিতে হাজার হাজার মুসুলস্নী তাদের প্রার্থণার কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকেন। 
জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে চাঁদপুর - কুমিলস্না মহা-সড়কের পার্শ্বে হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে যাওয়া যায়।
হযরত মাদ্দাখাঁ (রঃ) মসজিদ ও মাজার শরীফ, আলীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
মসজিদ, মাজার ও একটি ফোকানিয়া ও নুরানী মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

ডাকাতিয়া নদীর তীরে অবস্থিত হযরত মাদ্দাখাঁ (রঃ) নামে এই মাজার। মোঘল আমলে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় যে ৩৬৫ জন আউলিয়া ইসলাম প্রচার করতে আসেন তাদের মধ্যে হযরত মাদ্দাখাঁ (রঃ) একজন। মধ্যপ্রাচ্যে ছিল তার আদি নিবাস। ১১৪৫ বঙ্গাব্দে সোনারগাঁ এর সরকার বর্তমান খাদেমগণের পুর্বপুরম্নষ কাজী করমুলস্নাহ সাহেবকে মাদ্দাখাঁ মসজিদ ও মাজার শরীফের ভূমিসহ অনেক সম্পত্তির ভোগদখলের অধিকার দিয়ে জমিদারী মালিকানা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ১৩২৫ বঙ্গাব্দে মসজিদ ও মাজারের নামে ৪৪.৬১ একর ভূমি ওয়াক্ফ করেন। এখানে প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষের দিকে বার্ষিক উরস শরীফ পালিত হয়ে থাকে। প্রতিদিন শত শত ভক্ত মাজার শরীফ জেয়ারত করতে আসে। বর্তমানে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে মসজিদ, মাজার ও একটি ফোরকানিয়ার মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।


জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে চাঁদপুর - কুমিলস্না মহা-সড়কের পার্শ্বে আলীগঞ্জ মাদ্দাখাঁ (রঃ) মসজিদ ও মাজার শরীফ যাওয়া যায়।
বলাখাল জমিদার বাড়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
বাড়ীটি সংস্কারবিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় বিদ্যামান
এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন। সুরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী ও দেবেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী তাদের পিতা - যোগেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী ছিলেন বলাখাল এস্টেটের জমিদার। তারা অত্যমত্ম দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। বর্তমান বলাখাল রেলস্টেশন ও বলাখাল জে এন উচ্চ বিদ্যালয় তাদের দানকৃত সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। ১২.৫২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই জমিদার বাড়িটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এটি সংস্কার করে দর্শনীয় স্থানে পরিণত করা যেতে পারে।
জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে বলাখাল হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেল/ রিক্সা যোগে বলাখাল জমিদার বাড়ী দেখতে যাওয়া যায়।
নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধী স্থল।

নাসিরকোর্ট, হাজীগঞ্জ
চাঁদপুর।
শ্বেত পাথরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খচিত সমাধিস্থল।
 ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ৯ (নয়) জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে সমাহিত করা হয়। ১৯৮১ সালে তৎকালীন  মহাকুমা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে নাসিরকোর্ট শহীদ স্মৃতি কলেজের পার্শ্বস্থ এই সমাধিস্থলটি সংস্কার করা হয় এবং শ্বেত পাথরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামাংকিত করা হয়।
জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে হাজীগঞ্জ হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেল যোগে নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধী স্থল যাওয়া যায়।


মতলব উত্তর
নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দিঘী, কাশিমপুর, মতলব উত্তর, চাঁদপুর।
নাগরাজাদের বাড়িটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় বর্তমানে বিদ্যামান।
মতলবের কাশিমপুরে রয়েছে বিখ্যাত নাগরাজাদের বাড়ি ও ঐতিহাসিক মঠ। নাগরাজাদের বাড়িতে রয়েছে পাঁচশত বছরের প্রাচীন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদসমূহ। বোয়ালজুড়ি খালের দু’পাড়ে দুই রাজা। নাগরাজা (রামেশ্বরী দেবীর পিতা) ও দারাশাহের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের কাহিনী ও অমর প্রেমের গাঁথা এখনও লোকমুখে বিরাজিত। নায়ের গাঁয়ের কাচিয়ারা গ্রামে রয়েছে চল্লিশ একর আয়তনের কাঞ্চনমালার দিঘী।
জেলা সদর থেকে বাস/ সিএনজি যোগে মতলব উত্তর হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেল যোগে নাগরাজদের বাড়ী যাওয়া যায়। 

মতলব দক্ষিণ

শাহরাস্তি

মঠ,নাওড়া(পঞ্চগ্রাম), শাহরাস্তি, চাঁদপুর।

মেরামত / সংস্কার প্রয়োজন
আনুমানিক ২০০ বৎসর আগে শৈলনাথ মজুমদার নামক জনৈক জমিদার তার পরলোকগত মায়ের সমাধির উপর আনুমানিক ১৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট নাওড়া (পঞ্চগ্রাম) মঠ নির্মাণ করেন বলে জানা যায়।
জেলা সদর থেকে বাসযোগে শাহরাস্তি হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেলযোগে মেহের পঞ্চগ্রাম আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন দীঘির দক্ষিণ পাড়ে উক্ত মঠটি দেখতে যাওয়া যায়।

শাহরাস্তি (রঃ) এর মাজার
নিজমেহার, শাহরাস্তি
চাঁদপুর।

মাজারটি বর্তমানে একজন খাদেম দ্ধারা পরিচালিত।
হযরত শাহ্জালাল (রহঃ)-এর একজন বিশিষ্ট সাথী মহান আধ্যাত্মিক সাধক হযরত রাস্তি শাহ (রঃ)- সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে কুমিল্লা এবং নোয়াখালী এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্যে এসে মেহার শ্রীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন। ড. এনামুল হকের মতে, ১৩৫১ সালে মেহার অঞ্চলে এসেছিলেন আউলিয়া রাস্তি শাহ। শ্রীপুরেই বর্তমান কালীবাড়ির সন্নিকটে একটি আস্তানা নির্মাণ করে সাথীদের নিয়ে ধর্ম প্রচার করেন রাস্তি শাহ। তাঁর মৃত্যুর পর রাসিত্ম শাহ এর সমাধিস্থলটিই  শাহরাস্তি (রঃ) মাজার নামকরণ হয়। মাজার সংলগ্ন ২৭ একর আয়তনের একটি বিশাল দিঘী রয়েছে। রাস্তিশাহের পূণ্য স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্যে তাঁর মৃত্যুর সাড়ে ৩শ’ বছর পরে শায়েস্তা খানের কন্যা বাংলার সুবেদার আজিমুশানের বিদূষী পত্নী পরিবিবির নির্দেশে এস্থানে ১৭০২ সালে একটি তিন গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন কাজী গোলাম রাজা।

জেলা সদর থেকে বাসযোগে শাহরাস্তি হয়ে সিএনজি/ মোটর সাইকেলযোগে শাহরাস্তি (রঃ) এর মাজার দেখতে যাওয়া যায়।

হাইমচর

তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর, ভিঙ্গুলিয়া, হাইমচর, চাঁদপুর।

-------
হাইমচরের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের মল্লিক বাড়িতে রয়েছে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ ও মসজিদের প্রাঙ্গণে রয়েছে কিছু বাঁধানো প্রাচীন কবর। জনশ্রম্নতি রয়েছে যে, এটি মলুলকজান বিবির মসজিদ। শিলালিপি থেকে যতদুর পাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাতে জানা যায়, মসজিদটি ঈসা খাঁর আমলে জালালপুরের মল্লিক খেতাবপ্রাপ্ত কোনো শাসক নির্মাণ করেছিলেন। বাড়ির চতুপার্শ্বে পরীখা খনন করা আছে। লোকে বলে, মল্লিক বাড়ি, মল্লিক বাড়ি হচ্ছে ঈশা খাঁন আমলে প্রশাসকের পদবী। আরো জানা যায় যে, মেঘনায় বিলীন হওয়া হিঙ্গুলিয়া গ্রামেও অনুরূপ তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ ছিল।

 জেলা সদর থেকে বাস/সিএনজি/মোটর সাইকেল যোগে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ- পূর্বদিকে।

লঞ্চ এর নাম ও ছাড়ার সময় এবং জরুরি ফোন নাম্বার:

লঞ্চঃ এভ ভি রফ রফ
পরিচালনায়/ব্যবস্থাপনায়ঃ মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজ
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৫৫২৪০৭১০০

লঞ্চঃ এম ভি রফ রফ - ২
পরিচালনায়/ব্যাবস্থাপনায়ঃ মেসার্স আল আমিন এন্টার প্রাইজ
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৫৫২৪০৭১০০

লঞ্চঃ মেঘনা রানী
পরিচালনা/ব্যবস্থাপনায়ঃ মেসার্স মুন্সিগঞ্জ নৌ পরিবহন সংস্থা
।রুটঃ ঢাকা - চাদঁপুর - ঈদগা ফেরীঘাট ।
যোগাযোগঃ +৮৮০১৭১১০০৮৭৭৭

লঞ্চঃ এম ভি সোনার তরী
পরিচালনায়/ব্যবস্থাপনায়ঃ মেসার্স মাহবুব উদ্দিন আহমদ
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭১৬৫০১০৭৭

লঞ্চঃ আসা যাওয়া - ১ ( প্রস্তাবিতঃ সোনার তরী - ২ )
পরিচালনায়/ব্যাবস্থাপনায়ঃ মেসার্স সাত্তার শিপিং লাইন্স
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর
যোগাযোগঃ +৮৮০১৭১৬৫০১০৭

লঞ্চঃ এম ভি ময়ূর - ২
পরিচালনায়ঃ ফ্লাইং বার্ডস কর্পোরেশন
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭৫৯৯৪৪১৪৪

লঞ্চঃ এম ভি ময়ূর - ৭
পরিচালনায়/ব্যবস্থাপনায়ঃ ফ্লাইং বার্ডস কর্পোরেশন
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ঢাকা
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭১১০০৮৭৭৭

লঞ্চঃ এম ভি আব-এ-জম জম
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ+৮৮০ ১৭১৪-২৪৮৫৮৯, +৮৮০ ১৯৪৫-৩৩৭৩৭০

লঞ্চঃ এম ভি আব-এ-জম জম - ১
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - চরভৈরবী
যোগাযোগঃ +৮৮০১৭১৪-২৪৮৫৮৯, +৮৮০১৯৪৫-৩৩৭৩৭০

লঞ্চের নামঃ বোগদাদীয়া - ৯
পরিচালনায়ঃ ঢাকা রিভার্স ট্রান্সপোর্ট
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - নীলকমল - চরভৈরবী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭১১০০৮৭৭৭

লঞ্চের নামঃ আল-বোরাক
মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজ
 রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৯১৫৭৩৬৯৯৫

লঞ্চঃ নিউ আল বোরাক
পরিচালনায়/ব্যাবস্থাপনায়ঃ মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজ
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০১৯১৫৭৩৬৯৯৫

লঞ্চঃ ইমাম হাসান - ২
পরিচালনায়/ব্যাবস্থাপনায়ঃ মেসার্স বিক্রমপুর শিপিং কর্পোরেশন
 রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০১৮১২৭০৩০৪৭

লঞ্চঃ এম ভি মিতালী - ৪
পরিচালনায়ঃ মেসার্স বেঙ্গল শিপিং কোম্পানী
রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ইচলী
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭১৮৯৪৮০৮৪

লঞ্চঃ এম ভি ঈগল - ৩
পরিচালনায়/ব্যবস্থাপনায়ঃ মেসার্স শেখ ব্রাদার্স নেভিগেশন কোং
 রুটঃ ঢাকা - চাঁদপুর - ঢাকা
যোগাযোগঃ +৮৮০ ১৭৯২০৮৯৩৪৫

ডকটি আগে আমার মাধ্যমে সামু ব্লগ ও বেড়াই বাংলাদেশ গ্রুপ এ প্রকাশিত।

লঞ্চ ফোন নং কারটেসিঃ বাংলাদেশের লঞ্চ ভেসেল গ্রুপ।

বাংলাদেশের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা

আমরা সবাই কম-বেশি ঘুরতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেকে আবার ইচ্ছা থাকা শর্তেও নিজের জেলার দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন না এমনকি নামও জানেন না! তাদের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত করে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার দর্শনীয় স্থানের তালিকা দেওয়া হলো। ঘুরতে যাওয়া না হোক, নামগুলোতো জানা হলো। দেখুন আপনার জেলায় কোন কোন দর্শনীয় স্থান রয়েছে ? ভালো লাগলে মন্তব্য করবেন আর কোন নাম বাদ পরলে তা মন্তব্যের ঘরে সংযুক্ত করার অনুরোধ রইলো। পরে আমি তা এডিট করে মূল পোস্টে সংযুক্ত করে দিবো। সবাই ভালো থাকবেন।

এই ডক টির সংক্ষিপ্ত লিঙ্কঃ http://goo.gl/7K4H1k ডক টি অনেক আপডেট করতে হবে। কমেন্ট এ সহায়তা করুন।

রাজশাহী বিভাগ

বগুড়া
মহাস্থানগড়, ভাসু-বিহার, গোকুল মেধ, শাহ্ সুলতান বলখি মাহী সাওয়ারের মাজার, ভবানীপুর শিবমন্দির, ভবানী মন্দির, খেড়ুয়া মসজিদ, মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম, গ্রায়েন বাঁধ, ওয়ান্ডারল্যান্ড, মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ছোট সোনা মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি, দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসা, দারসবাড়ী মসজিদের প্রস্তরলিপি, খঞ্জনদীঘির মসজিদ, ধনাইচকের মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, তিন গম্বুজ মসজিদ ও তাহখানা, তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ্ নেয়ামতউল্লাহ (রহ.) মাজার, শাহ নেয়ামতউল্লাহর সমাধি, কোতোয়ালি দরওয়াজা, দাফেউল বালা, বালিয়াদীঘি, খঞ্জনদীঘি, কানসাটের জমিদারবাড়ি, তরতীপুর, চাঁপাই জামে মসজিদ, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহর (রহ.) মাজার, সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা, মহারাজপুর মঞ্চ, বারঘরিয়া মঞ্চ, জোড়া মঠ।

জয়পুরহাট
আছরাঙ্গা দীঘি, নান্দাইল দীঘি, লকমা রাজবাড়ি, পাথরঘাটা নিমাই পীরের মাজার, গোপীনাথপুর মন্দির, দুওয়ানী ঘাট, বারশিবালয় মন্দির, হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ, পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি, কড়ই কাদিপুর বধ্যভূমি, সেভেনথ ডে অ্যাডভেন্টিস মারানাথা সেমিনার খনজনপুর খ্রিস্টান মিশনারি স্মৃতিস্তম্ভ-৭১, শিশু উদ্যান।

পাবনা
ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ, জোড়বাংলার মন্দির, তাড়াশ বিল্ডিং, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক, অনুকূল ঠাকুর টেম্পল, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, সমন্বিত লাগসই কৃষি প্রযুক্তি জাদুঘর, চাটমোহর শাহী মসজিদ, সমাজ শাহী মসজিদ, হান্ডিয়াল জগন্নাথ মন্দির, হরিপুর জমিদারবাড়ি পুকুর, মথুরাপুর মিশন, চলনবিলের সূর্যাস্ত, বড়াল ব্রিজ রেলসেতু, বৃদ্ধমরিচ শাহী মসজিদ, জমিদার রানীর পুকুরঘাট, শেখ শাহ্? ফরিদ (রহ.) মসজিদ, লর্ড হার্ডিঞ্জ রেল সেতু, লালন শাহ সেতু, ঈশ্বরদী রেলজংশন, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, শহীদনগর স্মৃতিস্তম্ভ, বেঙ্গল মিট, সুজানগর আজিম চৌধুরীর জমিদারবাড়ি, গাজনার বিল, হজরত মাহতাব উদ্দিন শাহ আউলিয়ার মাজার, তাঁতীবন্দ জমিদারবাড়ি, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট, কৈটোলা নিষ্কাশন পাম্প হাউস, বেড়া পাম্প হাউস ও স্লুইসগেট, হুরাসাগর নদীর তীরে বেড়া পোর্ট।

নওগাঁ
কুশুম্বা মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, পতিসর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, দিব্যক জয়সত্মম্ভ, মাহি সমেত্মাষ, বলিহার রাজবাড়ি, আলতাদীঘি, জগদলবাড়ি, হলুদবিহার, দুবলহাটি জমিদারবাড়ি।

নাটোর
উত্তরা গণভবন, রানী ভবানী রাজবাড়ি, লুর্দের রানী ধর্মপল্লী, বোর্নি মারিয়াবাদ ধর্মপল্লী।

রাজশাহী
হজরত শাহ মখদুম রূপোষের (রহ.) দরগা, পুঠিয়া রাজবাড়ি, পুঠিয়া বড় আহ্নিক মন্দির, পুঠিয়া বড় শিবমন্দির, পুঠিয়া দোলমন্দির, পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির, বাঘা মসজিদ, দুই গম্বুজবিশিষ্ট কিসমত মাড়িয়া মসজিদ, এক গম্বুজবিশিষ্ট রুইপাড়া (দুর্গাপুর) জামে মসজিদ, বাগধানী মসজিদ (পবা), তিন গম্বুজবিশিষ্ট ভাগনা (তানোর) জামে মসজিদ, হজরত শাহ্ সুলতান (র.)-এর মাজার, চতুর্দশ শতাব্দী), দেওপাড়া প্রশস্তি, বড়কুঠি (অষ্টাদশ শতাব্দী), তালোন্দ শিব মন্দির, রাজশাহী বড়কুঠি, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, রাজশাহী।

সিরাজগঞ্জ
বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু, মখদুম শাহের মাজার, রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, চলনবিল, যাদব চক্রবর্তী নিবাস, ইলিয়ট ব্রিজ, শাহজাদপুর মসজিদ, জয়সাগর দীঘি, নবরত্ন মন্দির, ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ, ভিক্টোরিয়া স্কুল, হার্ড পয়েন্ট, ইকো পার্ক, মিল্কভিটা, রাউতারা বাঁধ ও স্লুইসগেট, বাঘাবাড়ি নদীবন্দর।

রংপুর বিভাগ

দিনাজপুর
দিনাজপুর রাজবাড়ি, চেহেলগাজি মসজিদ ও মাজার, কান্তজিউর মন্দির, ঘোডাঘাট দুর্গ, সীতাকোট বিহার, সুরা মসজিদ, নয়াবাদ মসজিদ, রামসাগর, স্বপ্নপুরী, স্টেশন ক্লাব, কালেক্টরেট ভবন, সার্কিট হাউস ও জুলুমসাগর, দিনাজপুর ভবন, সিংড়া ফরেস্ট, হিলি স্থলবন্দর, বিরল স্থলবন্দর।

গাইবান্ধা
বর্ধনকুঠি, নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, ভতরখালীর কাষ্ঠ কালী, রাজা বিরাট, ভবানীগঞ্জ পোস্ট অফিস ও বাগুড়িয়া তহশিল অফিস।

কুড়িগ্রাম
চান্দামারী মসজিদ, শাহী মসজিদ, চন্ডীমন্দির, দোলমঞ্চ মন্দির, ভেতরবন্দ জমিদারবাড়ি, পাঙ্গা জমিদারবাড়ি ধ্বংসাবশেষ, সিন্দুরমতি দীঘি, চিলমারী বন্দর, শহীদ মিনার, স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক, পাঙ্গা জমিদারবাড়ির কামান, বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ, মুন্সিবাড়ি।

লালমনিরহাট
তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল, তিস্তা ব্যারাজ ও অবসর রেস্ট হাউস, বুড়িমারী স্থলবন্দর, শেখ ফজলল করিমের বাড়ি ও কবর, তুষভান্ডার জমিদারবাড়ি, কাকিনা জমিদারবাড়ি, নিদাড়িয়া মসজিদ, হারানো মসজিদ, সিন্দুরমতি দীঘি, কালীবাড়ি মন্দির ও মসজিদ, বিমানঘাঁটি, তিস্তা রেলসেতু, হালা বটের তল, লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর, দালাইলামা ছড়া সমন্বিত খামার প্রকল্প।

নীলফামারী
ধর্মপালের রাজবাড়ি, ময়নামতি দুর্গ, ভীমের মায়ের চুলা, হরিশচন্দ্রের পাঠ, সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প, নীলফামারী জাদুঘর, কুন্দুপুকুর মাজার, দুন্দিবাড়ী স্লুইসগেট, বাসার গেট, স্মৃতি অম্লান।

পঞ্চগড়
ভিতরগড়, মহারাজার দীঘি, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, সমতলভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা-বাগান, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়ার মাজার, গোলকধাম মন্দির, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, রকস্ মিউজিয়াম।

রংপুর
পায়রাবন্দ, তাজহাট জমিদারবাড়ি, কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার, ভিন্ন জগৎ, ঝাড়বিশলা।

ঠাকুরগাঁও
জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপুরী আমগাছ, ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড ট্যুরিজম লি., রাজভিটা, রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি, হরিপুর রাজবাড়ি, জগদল রাজবাড়ি, প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন নেকমরদ, পীর শাহ নেকমরদের মাজার, মহালবাড়ি মসজিদ, শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া, সনগাঁ শাহী মসজিদ, ফতেহপুর মসজিদ, মেদিনীসাগর জামে মসজিদ, গেদুড়া মসজিদ, গোরক্ষনাথ মন্দির, কূপ ও শিলালিপি, হরিণমারী শিবমন্দির, হরিপুর রাজবাড়ি শিবমন্দির, গোবিন্দনগর মন্দির, ঢোলরহাট মন্দির, ভেমটিয়া শিবমন্দির, মালদুয়ার দুর্গ, গড়গ্রাম দুর্গ, বাংলা গড়, গড় ভবানীপুর, গড়খাঁড়ি, কোরমখান গড়, সাপটি বুরুজ, দীঘি।

সিলেট বিভাগ

হবিগঞ্জ
বিথঙ্গল আখড়া, বানিয়াচং প্রাচী রাজবাড়ির ধংসাবশেষ, বানিয়াচং পুরানবাগ মসজিদ, সাগরদীঘি, হব্যা গোমার দারা গুটি, নাগুড়া ফার্ম, সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট, কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট, রাবারবাগান, ফরুটসভ্যালি, সিপাহসালার হজরত শাহ সৈয়দ নাসির উদ্দিনের (রহ.) মাজার, লালচান্দ চা-বাগান, দেউন্দি চা-বাগান, লস্করপুর চা-বাগান, চন্ডীছড়া চা-বাগান, চাকলাপুঞ্জি চা-বাগান, চান্দপুর চা-বাগান, নালুয়া চা-বাগান, আমু চা-বাগান, রেমা চা-বাগান, দারাগাঁও চা-বাগান, শ্রীবাড়ী চা-বাগান, পারকুল চা-বাগান, সাতছড়ি চা-বাগান।

মৌলভীবাজার
চা-বাগান, মাধবকুন্ড, মাধবকুন্ড ইকো পার্ক, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, হজরত শাহ মোস্তফার (রহ.) মাজার, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ।

সুনামগঞ্জ
টাঙ্গুগুয়ার হাওর, হাছনরাজা মিউজিয়াম, লাউড়ের গড়, ডলুরা শহীদদের সমাধিসৌধ, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প। বাগবাড়ি টিলা , সেলবরষ জামে মসজিদ, সুখাইড় কালীবাড়ি মন্দির, কাহালা কালীবাড়ি, মহেষখলা কালীবাড়ি, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে হলহলিয়া গ্রামে রাজা বিজয় সিংহের বাসস্থানের ধ্বংসাশেষ।

সিলেট
জাফলং, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল, তামাবিল, হাকালুকি হাওর, ক্বীন ব্রিজ, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরানের (রহ.) মাজার, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের বাড়ি, হাছনরাজার মিউজিয়াম, মালনীছড়া চা-বাগান, এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর, পর্যটন মোটেল, জাকারিয়া সিটি, ড্রিমল্যান্ড পার্ক, আলী আমজাদের ঘড়ি, জিতু মিয়ার বাড়ি, মণিপুরী রাজবাড়ি, মণিপুরী মিউজিয়াম, শাহী ঈদগাহ, ওসমানী শিশুপার্ক।

বরিশাল বিভাগ

বরগুনা
বিবিচিনি শাহী মসজিদ, সোনারচর, লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা, রাখাইন এলাকা, বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমি।

বরিশাল
দুর্গাসাগর, কালেক্টরেট ভবন, চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামমোহনের সমাধি মন্দির, সুজাবাদের কেল্লা, সংগ্রাম কেল্লা, শারকলের দুর্গ, গির্জামহল্লা, বেলস পার্ক, এবাদুল্লা মসজিদ, কসাই মসজিদ, অক্সফোর্ড গির্জা, শংকর মঠ, মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি, ভাটিখানার জোড়া মসজিদ, অশ্বিনী কুমার টাউন হল, চরকিল্লা, এক গম্বুজ মসজিদ, সাড়ে তিন মণ ওজনের পিতলের মনসা।

ভোলা
চরকুকরিমুকরি, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর, ওয়ান্ডার কিংডম, মনপুরা দ্বীপ।

ঝালকাঠি
সুজাবাদের কেল্লা, ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, নুরুল্লাপুর মঠ, সিভিল কোর্ট ভবন, সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি, জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি, কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, গাবখান সেতু, ধানসিঁড়ি নদী, রূপসা খাল, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স, পোনাবালিয়া মন্দির, সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি, নলছিটি পৌরভবন, মার্চেন্টস্ স্কুল, চায়না কবর, কামিনী রায়ের বাড়ি, কুলকাঠি মসজিদ, সুরিচোড়া জামে মসজিদ, শিবমন্দির, নাদোরের মসজিদ।

পটুয়াখালী
কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, মিঠাপুকুর, কানাইবালাই দীঘি, কমলা রানীর দীঘি, সুলতান ফকিরের মাজার, নুরাইনপুর রাজবাড়ি, শাহী মসজিদ।

পিরোজপুর
রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা কুঠিবাড়ি, প্রাচীন মসজিদ, মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, শ্রীরামকাঠি প্রণব মঠ সেবাশ্রম, গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব, শেরেবাংলা পাবলিক লাইব্রেরি, মাঝের চর মঠবাড়িয়া, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি, বলেশ্বরঘাট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।

চট্টগ্রাম বিভাগ

বান্দরবান
মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, বগালেক, স্বর্ণমন্দির, কেওক্রাডং, নীলগিরি, প্রান্তিক লেক, ঋজুক জলপ্রপাত, মিরিঞ্জা কমপ্লেক্স।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কালভৈরব, সৌধ হীরণ্ময়, হাতিরপুল, কেল্লা শহীদ মাজার, গঙ্গাসাগর দীঘি, উলচাপাড়া মসজিদ, কাজী মাহমুদ শাহ (রহ.) মাজার, ছতুরা শরীফ, নাটঘর মন্দির, বিদ্যাকুট সতীদাহ মন্দির।

চাঁদপুর
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির, মনসামুড়া, দোয়াটি, সাহারপাড়ের দীঘি, উজানীতে বেহুলার পাটা, তুলাতলি মঠ, সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি, লোহাগড় মঠ, রূপসা জমিদারবাড়ি, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হজরত মাদ্দা খাঁ (রহ.) মসজিদ, বলাখাল জমিদারবাড়ি, নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল, নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দীঘি, মঠ, নাওড়া, শাহরাস্তির (রহ.) মাজার, তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর।

চট্টগ্রাম
ফয়স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, আগ্রাবাদ, বাটালি হিল, ডিসি অফিস (পরীর পাহাড়), কোর্ট বিল্ডিং, ওয়ার সিমেট্রি (কমনওয়েলথ যুদ্ধসমাধি), ডিসি হিল, কদম মোবারক মসজিদ, শাহ্ আমানতের (রহ.) দরগা, বদর আউলিয়ার (রহ.) দরগা, বায়েজিদ বোস্তামির (রহ.) মাজার, শেখ ফরিদের চশমা, ওলি খাঁর মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, হামজার মসজিদ, হামজারবাগ, পাথরঘাটা রোমান ক্যাথলিক গির্জা, চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহার, নন্দনকানন, কৈবল্যধাম, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুন্ড, বাঁশখালী ইকোপার্ক, সীতাকুন্ড ইকোপার্ক।

কুমিল্লা
শালবন বিহার ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) শাহ সুজা মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির, ধর্মসাগর, বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ, রূপবানমুড়া ও কুটিলামুড়া, বার্ডসংলগ্ন জোড়কানন দীঘি, জগন্নাথ দীঘি, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, শ্রী শ্রী রামঠাকুরের আশ্রম, রামমালা পাঠাগার ও নাটমন্দির, লাকসাম রোড, নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি, সঙ্গীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়ি, রাজেশপুর বন বিভাগের পিকনিক স্পট, গোমতি নদী, পুরাতন অভয়াশ্রম (কেটিসিসিএ লি.), বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেগম নার্গিসের বাড়ি, নবাব ফয়জুন্নেছার পৈতৃক বাড়ি।

কক্সবাজার
সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, অগে্গ্মধা ক্যাং, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, রামকোর্ট, লামারপাড়া ক্যাং, ইনানী, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, মাথিনের কূপ, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।

ফেনী
সোনাগাজী মুহুরি সেচ প্রকল্প, পাগলা মিয়ার মাজার, শিলুয়ার শীল পাথর, রাজাঝির দীঘি, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ ও বাসভবন, চাঁদগাজী মসজিদ, ফেনী সরকারি কলেজ ভবন, মহিপালের বিজয় সিংহ দীঘি।

খাগড়াছড়ি
আলুটিলা, আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় গুহা, দেবতার পুকুর, ভগবানটিলা, দুই টিলা ও তিন টিলা, আলুটিলার ঝরনা, পর্যটন মোটেল, খাগড়াছড়ি, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মহালছড়ি হ্রদ, শতায়ু বটগাছ।

লক্ষ্মীপুর
দালালবাজার জমিদারবাড়ি, কামানখোলা জমিদারবাড়ি, তিতা খাঁ জামে মসজিদ, জিনের মসজিদ, খোয়া সাগর দীঘি, মটকা মসজিদ।

নোয়াখালী
পাবলিক লাইব্রেরি, গান্ধী আশ্রম, বজরা শাহী জামে মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, নিঝুম দ্বীপ।

রাঙ্গামাটি
কর্ণফুলী হ্রদ, পর্যটন মোটেল ও ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝরনা, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, জেলা প্রশাসক বাংলো, জেলা প্রশাসক এলএইচ নিবলেটের সমাধি।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, আহছান মঞ্জিল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, রাস্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা/মেঘনা, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কাজী নজরুল ইসলামের মাজার, বিমানবন্দর, সোনারগাঁও, বিজয় সরণি ফোয়ারা, বসুন্ধরা সিটি, বাকল্যান্ড বাঁধ, বলধা গার্ডেন, অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, শাহআলী বোগদাদির মাজার, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘর, ক্রিসেন্ট লেক, শিশুপার্ক, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১, বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-২, বাংলাদেশ-জাপান সেতু, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, হোটেল সোনারগাঁও, কবিভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহী মসজিদ, জয়কালী মন্দির, আসাদ গেট, বড় কাটারা, শাপলা চত্বর ফোয়ারা, ঢাকা শহররক্ষা বাঁধ, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য, পল্টন ময়দান, অস্ত্র তৈরির কারখানা, শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন, লোকশিল্প জাদুঘর, গুলশান লেক, ওসমানী উদ্যান, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম, হোটেল শেরাটন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, ধানমন্ডি ঈদগাহ, কমলাপুর বৌদ্ধবিহার- কমলাপুর, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা তোরণ, বাংলা একাডেমী গ্রন্থাগার, ছোট কাটারা-চকবাজারের দক্ষিণে, কদম ফোয়ারা, বিমাবন্দর রক্ষাবাঁধ, জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য, স্বাধীনতা জাতীয় স্কোয়ার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘর, রমনা লেক-রমনা পার্ক, যমুনা ভবন, তিন নেতার স্মৃতিসৌধ, মিরপুর স্টেডিয়াম, হোটেল পূর্বাণী-মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান পার্ক, বিনত বিবির মসজিদ, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, খ্রিস্টান কবরস্থান, বিমানবাহিনীর সদর দফতর গেট, আওরঙ্গবাদ দুর্গ-লালবাগ, সার্ক ফোয়ারা, দুরন্ত ভাস্কর্য-শিশু একাডেমী, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান-টঙ্গী, ধানমন্ডি লেক-ধানমন্ডি, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, চক মসজিদ, গুরুদুয়ারা নানক শাহী, হোসনি দালান, বলাকা ভাস্কর্য, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সামরিক জাদুঘর, রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ, শিখা অনির্বাণ, সাত গম্বুজ মসজিদ, কাকরাইল চার্চ, দোয়েলচত্বর ভাস্কর্য, মহিলা সমিতি মঞ্চ, হাইকোর্ট ভবন, মহাকাশবিজ্ঞান ভবন, নভোথিয়েটার, তারা মসজিদ, লালবাগ দুর্গ, বাহাদুর শাহ পার্ক, পুলিশ মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জাতীয় আর্কাইভস, রাজউক, ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক, ওয়ান্ডারল্যান্ড, শিশুপার্ক, শ্যামলী শিশুমেলা।

ফরিদপুর
গেরদা মসজিদ, পাতরাইল মসজিদ ও দীঘি, বাসদেব মন্দির, পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ও কবরস্থান, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম, সাতৈর মসজিদ , ফাতেহাবাদ টাকশাল মথুরাপুর দেউল, বাইশ রশি জমিদার বাড়ি, জেলা জজ কোর্ট ভবন , ভাঙা মুন্সেফ কোর্ট ভবন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ জাদুঘর।

গাজীপুর
জাগ্রত চৌরঙ্গী, ছয়দানা দীঘি ও যুদ্ধক্ষেত্র, উনিশে স্মারক ভাস্কর্য, আনসার-ভিডিপি একাডেমী স্মারক ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কর্নার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবাড়ি শ্মশান, শৈলাট , ইন্দ্রাকপুর, কপালেশ্বর, রাজা শিশুপালের রাজধানী, একডালা দুর্গ (প্রাচীন ও ধ্বংসপ্রাপ্ত), মীর জুমলার সেতু, সাকাশ্বর স্তম্ভ, বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের বাড়ি, বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহার বাড়ি, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কাওরাইদ বাংলো, ভাওয়াল রাজবাড়ি, বলধার জমিদারবাড়ি, পূবাইল জমিদারবাড়ি, বলিয়াদী জমিদারবাড়ি, কাশিমপুর জমিদারবাড়ি, দত্তপাড়া জমিদারবাড়ি, হায়দ্রাবাদ দীঘি, ভাওয়াল কলেজ দীঘি, রাহাপাড়া দীঘি, টেংরা দীঘি, তেলিহাটী দীঘি, সিঙ্গার দীঘি (পালরাজাদের রাজধানী নগরী), সিঙ্গার দীঘি, কাউছি টিহর, কর্ণপুর দীঘি, চৌড়াদীঘি, মাওনা দীঘি, ঢোলসমুদ্র দীঘি ও পুরাকীর্তি, রাজবিলাসী দীঘি, কোটামুনির ডিবি ও পুকুর, মনই বিবি-রওশন বিবির দীঘি (চান্দরা), মকেশ্বর বিল, বিল বেলাই, উষ্ণোৎস, গঙ্গা (সরোবর) তীর্থক্ষেত্র, ভাওয়াল রাজশ্মশানেশ্বরী, টোক বাদশাহী মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র (কবরস্থান), চৌড়া, কালীগঞ্জ সাকেশ্বর আশোকামলের বৌদ্ধস্তম্ভ (ধর্মরাজিকা), পানজোড়া গির্জা, ব্রাহ্মমন্দির, সমাধিক্ষেত্র, গুপ্ত পরিবার, সেন্ট নিকোলাস (চার্চ), বক্তারপুর, ঈশা খাঁর মাজার, তিমুলিয়া গির্জা।

গোপালগঞ্জ
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ, চন্দ্রভর্ম ফোর্ট ( কোটাল দুর্গ), মুকসুদপুরের ঐতিহাসিক নিদর্শন, বহলতলী মসজিদ, ধর্মরায়ের বাড়ি, থানাপাড়া জামে মসজিদ, খাগাইল গায়েবি মসজিদ, কোর্ট মসজিদ, সেন্ট মথুরানাথ এজি চার্চ, সর্বজনীন কালীমন্দির, বিলরুট ক্যানেল, আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি, শুকদেবের আশ্রম, খানার পাড় দীঘি, উলপুর জমিদারবাড়ি, ’৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ)।

জামালপুর
হজরত শাহ জামালের (রহ.) মাজার, হজরত শাহ কামালের (রহ.) মাজার, পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট রসপাল জামে মসজিদ (উনবিংশ শতাব্দী), নরপাড়া দুর্গ (ষোড়শ শতাব্দী), গান্ধী আশ্রম, দয়াময়ী মন্দির, দেওয়ানগঞ্জের সুগার মিলস, লাউচাপড়া পিকনিক স্পট।

কিশোরগঞ্জ
ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, এগারসিন্ধুর দুর্গ, কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, দিল্লির আখড়া, শোলাকিয়া ঈদগাহ, পাগলা মসজিদ, ভৈরব সেতু, হাওরাঞ্চল, সুকুমার রায়ের বাড়ি, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য।

মাদারীপুর
হজরত শাহ মাদারের দরগাহ, আলগী কাজিবাড়ি মসজিদ, রাজা রামমন্দির ঝাউদিগিরি, আউলিয়াপুর নীলকুঠি, মিঠাপুর জমিদারবাড়ি, প্রণব মঠ, বাজিতপুর, মঠের বাজার মঠ, খোয়াজপুর, খালিয়া শান্তি কেন্দ্র, পর্বতের বাগান, শকুনী লেক, সেনাপতির দীঘি।

মানিকগঞ্জ
বালিয়াটি প্রাসাদ, তেওতা জমিদারবাড়ি, তেওতা নবরত্ন মঠ, মানিকগঞ্জের মত্তের মঠ, রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, শিব সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি, গৌরাঙ্গ মঠ, নারায়ণ সাধুর আশ্রম, মাচাইন গ্রামের ঐতিহাসিক মাজার ও পুরনো মসজিদ, বাঠইমুড়ি মাজার।

মুন্সীগঞ্জ
বল্লাল সেনের দীঘি, হরিশ্চন্দ্র রাজার দীঘি, রাজা শ্রীনাথের বাড়ি, রামপাল দীঘি, কোদাল ধোয়া দীঘি, শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধির মঠ, সোনারংয়ের জোড়া মঠ, হাসারার দরগাহ, ভাগ্যকূল রাজবাড়ি, রাঢ়ীখালে জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি, কুসুমপুরে তালুকদার বাড়ি মসজিদ, তাজপুর মসজিদ, পাথরঘাটা মসজিদ, কাজীশাহ মসজিদ, পোলঘাটার ব্রিজ, পাঁচ পীরের দরগাহ, সুখবাসপুর দীঘি, শিকদার সাহেবের মাজার, বার আউলিয়ার মাজার, শহীদ বাবা আদমের মসজিদ, ইদ্রাকপুর কেল্লা, অতীশ দীপঙ্করের পন্ডিতভিটা, হরগঙ্গা কলেজ গ্রন্থাগারে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আশুতোষ গাঙ্গুলীর আবক্ষ মার্বেল মূর্তি।

ময়মনসিংহ
শশী লজ, গৌরীপুর লজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, স্বাধীনতাস্তম্ভ, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, ময়মনসিংহ জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ি, গৌরীপুর রাজবাড়ি, বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার, রামগোপাল জমিদারবাড়ি, ফুলবাড়িয়া অর্কিড বাগান, চীনা মাটির টিলা, আবদুল জববার স্মৃতি জাদুঘর, কুমিরের খামার, তেপান্তর ফিল্ম সিটি।

নারায়ণগঞ্জ
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, হাজীগঞ্জে ঈশা খাঁর কেল্লা, কদমরসুল দরগাহ, পাঁচ পীরের দরগাহ, ইপিজেড আদমজী, মেরিন একাডেমী, লাঙ্গলবন্দ, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি, সোনাকান্দা দুর্গ, সালেহ বাবার মাজার, গোয়ালদী মসজিদ, সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, পাগলা ব্রিজ, বন্দর শাহী মসজিদ, মেরী এন্ডারসন (ভাসমান রেস্তোরাঁ), বিবি মরিয়মের মাজার, রাসেল পার্ক, জিন্দাপার্ক।

নরসিংদী
উয়ারী বটেশ্বর, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর, সোনাইমুড়ি টেক, আশ্রাবপুর মসজিদ, ইরানি মাজার, দেওয়ান শরীফ মসজিদ, গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্ত্তভিটা।

নেত্রকোনা
উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী, বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, রানীখং মিশন, টংক শহীদ স্মৃতিসৌধ, রানীমাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ, কমলা রানী দীঘির ইতিহাস, নইদ্যা ঠাকুরের (নদের চাঁদ) লোক-কাহিনী, সাত শহীদের মাজার, হজরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমির (রহ.) মাজার, রোয়াইলবাড়ি কেন্দুয়া।

রাজবাড়ী
চাঁদ সওদাগরের ঢিবি (মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র চাঁদ সওদাগরের স্মৃতিচিহ্ন), মথুরাপুর প্রাচীন দেউল, শাহ পাহলোয়ানের মাজার, দাদ্শী মাজার, জামাই পাগলের মাজার, নলিয়া জোডা বাংলা মন্দির, সমাধিনগর মঠ (অনাদি আশ্রম), রথখোলা সানমঞ্চ, নীলকুঠি, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র, দৌলতদিয়া ঘাট।

শরীয়তপুর
মগর, মহিষারের দীঘি, রাজনগর, কুরাশি, বুড়ির হাটের মসজিদ, হাটুরিয়া জমিদারবাড়ি, রুদ্রকর মঠ, রাম সাধুর আশ্রম, জমিদারবাড়ি, মানসিংহের বাড়ি, শিবলিঙ্গ, সুরেশ্বর দরবার, পন্ডিতসার, ধানুকার মনসাবাড়ি।

শেরপুর
গড় জরিপার দুর্গ , দরবেশ জরিপ শাহের মাজার, বারদুয়ারী মসজিদ, হযরত শাহ কামালের মাজার, শের আলী গাজীর মাজার, কসবার মুগল মসজিদ, ঘাঘরা লস্কর বাড়ী মসজিদ, মাইসাহেবা মসজিদ, নয়আনী জমিদারের নাট মন্দির, আড়াই আনী জমিদার বাড়ি, পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি, গজনী অবকাশ কেন্দ্র।

টাঙ্গাইল
আতিয়া মসজিদ, শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার, পরীর দালান, খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার, ঝরোকা, সাগরদীঘি, গুপ্তবৃন্দাবন, পাকুটিয়া আশ্রম, ভারতেশ্বরী হোমস, মহেড়া জমিদারবাড়ি/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, পাকুল্লা মসজিদ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল/কলেজ, নাগরপুর জমিদারবাড়ি, পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল, উপেন্দ্র সরোব, গয়হাটার মঠ, তেবাড়িয়া জামে মসজিদ, পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু, এলেঙ্গা রিসোর্ট, যমুনা রিসোর্ট, কাদিমহামজানি মসজিদ, ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি, সন্তোষ, করটিয়া সা’দত কলেজ, কুমুদিনী সরকারি কলেজ, বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস, পীরগাছা রাবারবাগান, ভূঞাপুরের নীলকুঠি, শিয়ালকোল বন্দর, ধনবাড়ি মসজিদ ও নবাব প্যালেস, নথখোলা স্মৃতিসৌধ, বাসুলিয়া, রায়বাড়ী, কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।

খুলনা বিভাগ

বাগেরহাট
ষাট গম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার, সিঙ্গাইর মসজিদ, বিবি বেগনী মসজিদ, চুনখোলা মসজিদ, পীর আলী মুহাম্মদ তাহেরের সমাধি, এক গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি, রণবিজয়পুর মসজিদ, জিন্দাপীর মসজিদ, রেজা খোদা মসজিদ, খানজাহানের বসতভিটা, ঢিবি, কোদলা মঠ, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুল্লাহর বাড়ি, মোরেলের স্মৃতিসৌধ, ১৮৬৩ সালে তৎকালীন এসডিও মংলা পোর্ট, চিলা চার্চ, কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি, প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাড়ি, নীলসরোবর, জমিদার ক্ষিতিষ চন্দ্রের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, শাহ আউলিয়াবাগ মাজার, হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) সহচর পীর শাহ আউলিয়ার মাজার, নাটমন্দির, রামজয় দত্তের কাছারিবাড়ি। ব্রিটিশ সেনাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। কৃষ্ণমূর্তি, গোপাল জিউর মন্দির, লাউপালা, যাত্রাপুর, দুবলার চর, কটকা, কচিখালি, সুন্দরবন।

চুয়াডাঙ্গা
ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ, তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন, হজরত খাজা মালিক উল গাউসের (রহ.) মাজার (গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা), দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোং লি., দর্শনা রেলস্টেশন, দর্শনা শুল্ক স্টেশন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট, নাটুদহ আটকবর, নাটুদহ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, চারুলিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, তালসারি, দত্তনগর কৃষি খামার, ধোপাখালী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান, কাশিপুর জমিদারবাড়ি, ধোপাখালী শাহী মসজিদ।

যশোর
হাজী মুহাম্মদ মহসিনের ইমামবাড়ী, মীর্জানগর হাম্মামখানা, ভরত ভায়না মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, ভাতভিটা, সীতারাম রায়ের দোলমঞ্চ, গাজী-কালু-চম্পাবতীর কবর, বাঘানায়ে খোদা মসজিদ, পাঠাগার মসজিদ, মনোহর মসজিদ, শেখপুরা জামে মসজিদ, শুভরাঢ়া মসজিদ, মীর্জানগর মসজিদ, ঘোপের মসজিদ, শুক্কুর মল্লিকের মসজিদ, নুনগোলা মসজিদ, কায়েমকোলা মসজিদ, বালিয়াডাঙ্গা সর্বজনীন পূজামন্দির, দশ মহাবিদ্যামন্দির, অভয়নগর মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দির, রায়গ্রাম জোড়বাংলা মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির, মুড়লি শিবমন্দির, জোড়বাংলার দশভুজার মন্দির, চড়ো শিবমন্দির।

ঝিনাইদহ
নলডাঙ্গা মন্দির, মিয়ার দালান, কেপি বসুর বাড়ি, গোড়ার মসজিদ, মিয়ার দালান, গলাকাটা মসজিদ, জোড়বাংলা মসজিদ, সাতগাছিয়া মসজিদ, জাহাজঘাটা হাসিলবাগ গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজার, বলু দেওয়ানের বাজার, দত্তনগর কৃষি খামার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ ও মাজার, শৈলকুপা রামগোপাল মন্দির, মরমি কবি পাঞ্জু শাহের মাজার, শৈলকুপা শাহী মসজিদ, কামান্না ২৭ শহীদের মাজার, সিরাজ সাঁইয়ের মাজার, ঢোলসমুদ্র দীঘি, মল্লিকপুরের এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ।

খুলনা
সুন্দরবন, রেলস্টেশনের কাছে মিস্টার চার্লির কুঠিবাড়ি, দক্ষিণডিহি, পিঠাভোগ, রাড়ুলী, সেনহাটি, বকুলতলা, শিরোমণি, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি সৌধ, চুকনগর, গল্লামারী, খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত বড় দীঘি, মহিম দাশের বাড়ি, খলিশপুর সত্য আশ্রম।

কুষ্টিয়া
শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা, ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ, আড়-য়া পাড়ার নফর শাহের মাজার, কুমারখালী বাজারে দরবেশ সোনা বন্ধুর মাজার এবং সাফিয়ট গ্রামের জঙ্গলী শাহের মাজার, জর্জবাড়ী, মুহিষকুন্ডি নীলকুঠি, কালীদেবী মন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’।

মাগুরা
রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ, সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা মঠবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মঠ, ভাতের ভিটা পুরাকীর্তি, শ্রীপুর জমিদারবাড়ি, মোকাররম আলী (রহ.) দরগাহ, শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির।

মেহেরপুর
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক আম্রকানন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, পৌর ঈদগাহ, মেহেরপুর পৌর কবরস্থান, মেহেরপুর পৌর হল, মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ, আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়ার নীলকুঠি, সাহারবাটি, ভবানন্দপুর মন্দির।

নড়াইল
সুলতান কমপ্লেক্স, বাধাঘাট, নিরিবিলি পিকনিক স্পট, অরুনিমা ইকো পার্ক, চিত্রা রিসোর্ট, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ কমপ্লেক্স।

সাতক্ষীরা
সুন্দরবন, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত, যশোরেশ্বরী মন্দির, হরিচরণ রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি ও জোড়া শিবমন্দির, যিশুর গির্জা, মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট, মায়ের মন্দির, মায়ি চম্পার দরগা, জোড়া শিবমন্দির, শ্যামসুন্দর মন্দির, চেড়াঘাট কায়েম মসজিদ, তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ, গুনাকরকাটি মাজার, বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির, টাউন শ্রীপুর, দেবহাটা থানা, প্রবাজপুর মসজিদ, নলতা শরীফ।

By Jajabor Prithibi

Susang Durgapur - সুসং দুর্গাপুর ভ্রমন গাইড

অবস্থানঃ
বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার সর্ব উত্তরে ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের কোল ঘেসে নিরব দাড়ীয়ে ছোট্ট জনপদ দুর্গাপুর। একপাশে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলাঅন্য পাশে গারো পাহাড় আর উপত্যকা দিয়ে ঘেরা ভারতের মেঘালয়পুর্বে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা। আর দক্ষিণেপুর্বধলা উপজেলা। স্থানাঙ্ক: ২৫°৭.৫′ উত্তর ৯০°৪১.৩′ পূর্ব
ইতিহাসঃ
১২৮০ খ্রীষ্টাব্দে মেঘালয়ের পূর্ব অংশে সু-সঙ্গ নামে এক পরগনার গোড়াপত্তন হয়। অভিযাত্রী মার্কোপোলো তাঁর অভিযানের এক পর্যায়ে যখন তাঁতার সাম্রাজ্যের সম্রাট কুবলাই খাঁর দরবারে তখনই আরেক অভিযাত্রী সোমেশ্বর পাঠক মতান্তরে সোমনাথ পাঠক ভারতের কান্যকুব্জ থেকে ১২৮০ খৃষ্টাব্দ (৬৮৬ বঙ্গাব্দ মাঘ মাস) পূর্ব ময়মনসিংহের উত্তরভাগ ‍‍'পাহাড় মুল্লুকে' প্রচুর সঙ্গীসাথী সহ কামরূপ ভ্রমণের লক্ষ্যে বর্তমান দশভূজা বাড়ির প্রাঙ্গনে অশোক বৃক্ষের নিচে বিশ্রামের জন্য যাত্রাবিরতি করেন। অত্র 'পাহাড় মুল্লুক' ছিল 'বৈশ্য গারো' নামের প্রবল পরাক্রমশালী এবং অত্যাচারী এক গারো রাজার অধীন। সোমেশ্বর পাঠক তাকে যুদ্ধে পরাস্ত করে সু-সঙ্গ অর্থাৎ ভাল সঙ্গ নামে এক সামন্ততান্ত্রিক রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই সোমেশ্বর পাঠকই সুসঙ্গ রাজবংশের আদি পুরুষ।
পরবর্তী তিন'শ বছর এই বংশের রাজ পুরুষগণ বহু উপাধী বদলিয়ে অবশেষে সিংহ উপাধী ধারণ করেন। এই রাজবংশের যোগ্য উত্তরসূরী মল্লযোদ্ধা এবং প্রখর কুটনৈতিক জ্ঞানের অধিকারী রাজা রঘুনাথ সিংহ মোঘল সম্রাট আকবরের সিংহাসনোরাহনের পর তাঁর সাথে এক চুক্তি করেন। এই চুক্তির অংশ হিসেবে রাজা রঘুনাথ সিংহকে মানসিংংহ এর পক্ষে বিক্রমপুরের চাঁদ রায়, কোদার রায় এর বিপক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে হয়। যুদ্ধে চাঁদ রায়, কেদার রায় পরাস্ত হলে রাজা রঘুনাথ সেখান থেকে অষ্ট ধাতুর এক দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসেন এবং রাজ মন্দিরে স্থাপন করেন যা আজো দশভূজা মন্দির নামে সুপরিচিত। তখন থেকেই সু-সঙ্গের সাথে দুর্গাপুর যোগ করে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় সুসঙ্গ দুর্গাপুর। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে হাজংদের হাতির খেদায় বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করানোর প্রতিবাদে হাজং নেতা মনা সর্দার নেতৃত্বে হাজং বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৯৪২-৪৩ সালে কমরেড মণি সিংহর নেতৃত্বে টংক আন্দোলন পরিচালিত হয়। ১৯৪৬-৪৭ সালে তাঁর নেতৃত্বে তেভাগা আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলন সারা পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পরে।

ঢাকা থেকে সুসং দুর্গাপুর যাওয়ার উপায়ঃ 

ঢাকা থেকে সুসং দুর্গাপুরে যাওয়ার এবং ফেরার জন্য সবচাইতে ভালো হবে নাইট কোচ বাস সার্ভিস। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সুসং দুর্গাপুরে উদ্দেশ্যে নাইট কোচ সহ দিনে ও রাতে বেশ কিছু বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া পড়বে ৩০০ টাকা। এই বাস আপনাকে সুসং দুর্গাপুর এর প্রাণকেন্দ্র তালুকদার প্লাজার সামনে নিয়ে নামাবে।
রাত ১২ টায় মহাখালী টার্মিনাল থেকে নাইট কোচ ছেড়ে যায়। আগে থেকে যোগাযোগ করে টিকিট বুকিং দিয়ে রাখবেন। আবার ঢাকা ফেরার জন্য দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে রাত এগারটায় এবং সাড়ে এগারটায় দুটি নাইট কোচ ঢাকার উদ্দ্যশ্যে ছেড়ে যায়। আপনি এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে যেতে পারেন। ভোর পাঁচটার মধ্যেই মহাখালী পৌঁছে যাবেন। নির্ঝঞ্ঝাট এবং নিরাপদ ভ্রমন এর জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সাজেশান।

 যারা ঝটিকা সফর করতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে নাইট কোচে দুর্গাপুর এসে তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে সারাদিনের জন্য বাইক ভাড়া করে(ভাড়া ৮০০/১০০) সবকিছু ঘুরে দেখে আবার নাইটকোচে ফেরত যাওয়া।

বিআরটিসির একটি স্পেশাল বাস প্রতিদিন বিকাল ৩.২০ তে কমলাপুর বিআরটিসি কাউন্টার থেকে ছেড়ে যায় যা ছয় ঘন্টার মধ্যে আপনাকে সুসং দুর্গাপুরের একবারে প্রানকেন্দ্র উকিলপাড়া মোড় এর তালুকদার প্লাজা/ অগ্রণী ব্যাংক এর সামনে পর্যন্ত নিয়ে যাবে।কিন্তু স্থানীয় পরিবহন রাজনীতির কারনে প্রায়ই বাসটির সার্ভিস বন্ধ থাকে।

 আপনি ইচ্ছা করলে ময়মনসিংহ হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও আসতে পারেন। অবশ্যি এতে ঝামেলা বেশি। “এনা” পরিবহন এর বাস মহাখালী হতে ময়মংসিংহ-এর মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়। এনা’র ভাড়া ২২০ টাকা। এছাড়া শেরপুর এবং ফুলবাড়িয়ার কিছু বাসে করে আপনি ময়মনসিংহ ব্রীজ পর্যন্ত আসতে পারবেন। ভাড়া ৯০/১০০ টাকা। তবে এক্ষেত্রে আপনি কাউন্টার থেকে না উঠে টারমিনাল এর বাইরে হতে বাসে উঠবেন।  সেখান থেকে সিএনজি তে করে দুর্গাপুর বাজার তালুকদার প্লাজার সামনে এসে নামবেন। এই বাস গুলার ভাড়া কম এবং সার্ভিসও খুবই ভাল। তবে খরচ কমানোর জন্য সব বাস কিন্তু উপযুক্ত নয়। শুধু শ্যামলী বাংলা(শেরপুর), ইমাম(হালুয়াঘাট), এবং আলমএশিয়া(ফুলবাড়িয়া)। এছাড়া অন্য কোন বাসে ভুল করেও উঠবেননা।

 মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা বা রিকশা নিয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ নামে পরিচিত) মোড়ে চলে যাবেন, ব্রিজএর সামনে থেকে সুসং দুর্গাপুরে বাসে উঠে পড়লে পরের আড়াই/তিন ঘন্টা বসে বসে ঝাকি খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। এর পর সুসং দুর্গাপুরে পৌঁছালে নেমে রিকশায় গেস্ট হাউস এ। রাস্তা শ্যামগঞ্জ পর্যন্ত খুবই ভাল সুন্দর উন্নত এবং আরামদায়ক। শ্যামগঞ্জ থেকে ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং ছাড়া। যদিও খানাখন্দ নাই খুবই ভারি ভারি বালু এবং কয়লার ট্রাক চলাচল করে বলে রাস্তা টেকেনা কিন্তু সবসময় ভেজা এবং সমান থাকে। বাস এর ভাড়া ৮০ টাকা। বাস থেকে সিএনজি ভ্রমন আরামদায়ক। সময় লাগে মাত্র দেড় ঘন্টা ভাড়া ১৫০ টাকা জন প্রতি। এক সিএনজি তে পাঁচ জন আসা যায়।

আরেকটা রুট আছে যা ট্যুরিস্টদের কাছে মোটামোটি ওজানাই এখনো। প্রাইভেটকার কিংবা মাইক্রো দিয়ে আসতে হলে আপনারা ময়মনসিংহ থেকে ধোবাউরা এবং ভেন্নাকান্দা চৌরাস্তা হয়ে শিবগঞ্জ বাজার দিয়ে একেবারে বিজয়পুরের বর্ডার সহ সব জায়গাতেই যেতে পারবেন।  এতে আপনারা গাড়ি দিয়ে সরাসরি স্পটে যেতে পারবেন। 

 যারা ট্রেনে যেতে চান তাদের জন্যও ট্রেনের ব্যাবস্থা আছে। আন্তঃ নগর ট্রেনে ময়মনসিংহ পর্যন্ত যেতে পারেন এরপর আছে লোকাল ট্রেন জারিয়া এক্সপ্রেস ।ময়মনসিংহ পর্যন্ত রেল এর ভাড়া প্রথম শ্রেণী ১৮০ টাকা, চেয়ার কোচ ১৩০ টাকা এবং শোভন ১১০টাকা।

 ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেন চলে।  কমলাপুর স্টেসন থেকে এগুলো যাত্রার সময়সূচি হলঃ


 ট্রেনের নাম             ছাড়ার সময়         ময়মনসিংহ জংশনে পৌঁছে        সাপ্তাহিক বন্ধ


তিস্তা এক্সপ্রেস           সকাল ৭.২০         সকাল ১০.৪৫ - ১১.০০            সোমবার


অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস       সকাল ৯.২০        দুপুর ১.০০ - ১.৩০                 নাই


 যমুনা এক্সপ্রেস           বিকাল ৪.৪০         রাত্রি ৮.০০- ৮.৩০                নাই


 ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস         সন্ধ্যা ৬.০০           রাত্রি ১০.০০                        নাই


 হাওর এক্সপ্রেস            রাত ১১.৫০            রাত ৩.০০                       বুধবার রাত



ময়মনসিংহ ষ্টেশনে নেমে কাউন্টারে খোঁজ করে জারিয়া-ঝাঞ্জাইল এর লোকাল ট্রেনে উঠে জারিয়া এসে নামতে হবে।

ময়মনসিংহ হতে জারিয়া পর্যন্ত দিনে ৪ বার লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

সকাল ৬ টায় , সকাল ১১ টায়, বিকাল ৪ টায় , রাত ৮ টায়

ময়মনসিংহ হতে জারিয়া ট্রেন ভাড়া ১৮ টাকা। জারিয়া হতে দুর্গাপুর এর ভাড়া টমটম এ ২৫ টাকা , CNG তে ৪০ এবং মোটর সাইকেলে ৫০ টাকা প্রতি জন।


 তিস্তা এক্সপ্রেসে আসলে সকাল ১১ টার জারিয়ার ট্রেন ধরতে পারবেন আর হাওর এ আসলে দু ঘন্টা স্টেশন এ বসে থেকে ভোর ৬ টার জারিয়ার ট্রেন ধরতে পারবেন। যমুনা এক্সপ্রেস এ আসলে রাতের ৮ টার ট্রেন কোন দিন পাওয়া যায় আবার কোন দিন পাওয়া যায়না।

জারিয়া স্টেশন হতে সকাল আটটায়, দুপুর একটায়, সন্ধ্যা ছয়টায় এবং রাত দশটায় ময়মনসিংহ স্টেশনের উদ্যেশ্যে লোকাল ট্রেন ছেড়ে যায়। গড়পড়তা সময় লাগে আড়াই ঘন্টা

আবার আপনি ইচ্ছা করলে নেত্রকোনার বাস কিংবা হাওর এক্সপ্রেসে করে শ্যামগঞ্জ এসে নামতে পারেন। ময়মনসিংহ থেকে তিন স্টেসন (ময়মনসিংহ-শম্ভুগঞ্জ- বিসকা-গৌরিপুর-শ্যামগঞ্জ) শ্যামগঞ্জ থেকে সিএনজি করেও দুর্গাপুর উকিল পাড়া মোড়ে তালুকদার প্লাজা/অগ্রণী ব্যাংক এর সামনে এসে নামবেন।  ভাড়া ১০০-১২০ টাকা।
নতুন আগতদের জন্য সরাসরি বাস এ আসাই ভাল এতে ঝামেলা কম।


 সুসং দুর্গাপুর বাজার থেকে রিক্সা বা মোটরসাইকেল নিয়ে সুনীল সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে, গারো পাহাড়, গোলাপী পাহাড়,  নীল/সবুজ পানির লেক ঘুরে আসা যায়। সেখানে ভারত বাংলাদেশ বর্ডার ছাড়াও দেখার মতন রয়েছে একটা চার্চ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ট্রেনিং নেয়ার জন্য তৈরী কয়েকটা পিলার । সারাদিনের জন্য রিক্সা ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে (যার থেকে যা রাখতে পারে)। রিক্সা আপনাকে খুঁজতে হবেনা, রিক্সাই আপনার হোটেলে এসে বসে থাকবে। আর মোটর সাইকেল ভাড়া পাওয়া যাবে তালুকদার প্লাজা/ অগ্রণী ব্যাংক এর সামনে থেকে।



 শীত কালে যখন পানি কম থাকে তখন সোমেশ্বরী নদীতে হাটু পানিতে নেমে হাটা হাটি করবেন। ফিলিংস টা দুর্দান্ত হবে।


 বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

আপনারা যারা চিনামাটির পাহাড়, গারো পাহাড় বা সোমেশ্বরী নদী বলতে বিরিশিরি বুঝেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বিরিশিরি একটি ইউনিয়ন।  দূর্গাপুর থানার একটি ইউনিয়ন বিরিশিরি চিনামাটির পাহাড় ,রানিখং ,  সীমান্ত , সোমেশ্বরী নদী আরও যা দেখবেন সবই দূর্গাপুর থানার অন্তর্গত এবং অন্যান্য  ইউনিয়ন এবং আপনি বিরিশিরি ইউনিয়নের কোন কিছুতেই ঘুরবেন না - ফসলি মাঠ আর চোলাই মদ এর কারখানা ছাড়া বিরিশিরিতে আর কিছুই নেই - বেড়াতে যান দূর্গাপুর কিন্ত নাম হয় বিরিশিরির'র - বিরিশিরি তে বাস / নসিমন এসে থামে - এতটুকুই।



দুর্গাপুর থেকে ঢাকাঃ
ঢাকা ফেরার জন্য দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে রাত এগারটায় এবং সাড়ে এগারটায় দুটি নাইট কোচ ঢাকার উদ্দ্যশ্যে ছেড়ে যায়। আপনি এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে যেতে পারেন। ভোর পাঁচটার মধ্যেই মহাখালী পৌঁছে যাবেন। নির্ঝঞ্ঝাট এবং নিরাপদ ভ্রমন এর জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল সাজেশান।
 দুর্গাপুর থেকে ঢাকা ফেরত যাওয়ার সময় ট্রেনে যাওয়ার চিন্তা কখনই করবেননা। ময়মনসিংহ থেকে আপনি কখনো ঢাকার আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট পাবেননা। প্রতিদিন সকাল ৬.২০ এ সুসং দুর্গাপুরের একবারে প্রানকেন্দ্র উকিলপাড়া মোড় এর তালুকদার প্লাজা/ অগ্রণী ব্যাংক এর সামনে থেকে বিআরটিসি বাস ছাড়ে। অগ্রিম টিকিট এর জন্য কাউন্টার/এজেন্ট তামিম টেলিকম এ যোগাযোগ করে রাখবেন।



দুর্গাপুর থেকে পাহাড়ে যাওয়ার উপায়ঃ

 বিজয়পুর, রানীখং,  বিজিবি ক্যাম্প এসব ঘুরতে রিক্সা অথবা মোটর সাইকেল ভাড়া করতে হবে। সোমেশ্বরী নদী পাড় হয়ে ওপাশে যেতে হবে। নদী পাড় হতে নৌকাকে দিতে হবে জনপ্রতি ৫ টাকা। আর মটর সাইকেল এর জন্য ১০ টাকা। মটর সাইকেল এ গেলে সব ঘুরে আসতে ৬ ঘন্টা মত সময় লাগবে। ১ টা মটর সাইকেলে ২ জন এর ভাড়া পড়বে ৭০০-১০০০ টাকা। আর রিক্সায় গেলে ২ জন এ খরচ পড়বে ৬০০-৮০০০ টাকা(যার কাছ থেকে যত রাখতে পারে)। ফিরতে সময় লাগবে ৮ ঘন্টা মত। তবে বর্ডারের রাস্তা ঘাট খুব সুবিধের না হওয়ায় মাটর সাইকেলে গেলেই ভাল হবে। আর ভবানিপুর ডাহাপাড়া যেতে হলে আত্রাখালি ঘাট হতে রিক্সা নিয়ে যাওয়া যায়। ১-১.৫ কিলোমিটার রাস্তা। চাইলে প্রাকৃতিক মনোরম সৌন্দর্য দেখতে দেখতে হেটেও যেতে পারবেন।



থাকার ব্যবস্থাঃ



সুসং দুর্গাপুরে থাকার জন্য ভাল মানের বেশ কয়েকটি গেস্ট হাউস আছে। নিম্নে এদের নাম এবং কন্টাক্ট নাম্বার দেয়া হল-


জেলা পরিষদ ডাক বাংলা:  01558380383, 01725571795


 ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী গেষ্ট হাউজ। ফোনঃ 09525-56042; মোবাইলঃ 01815482006


ইয়ুথ মেন খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমসিএ-এর রেস্ট হাউস।: 01818613496, 01716277637, 01714418039, 01743306230, 01924975935, 01727833332। এখানকার কক্ষ ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা।


 YWCA গেষ্ট হাউজ: 01711027901,।YWCA এর জন্য ‘অমিতা সাংমা – ০১৭১২০৪২৯১৬’


রুম ভাড়া পড়বে ৭৫০ টাকা (২ বেড) আর চাইলে VIP রুম এর ব্যাবস্থাও  করতে পারেন। এদের বিরাট একটা হলরুম আছে যেখানে একসাথে ১৮ জন থাকতে পারবে, সেক্ষেত্রে পার বেডে খরচ পড়বে ২০০ টাকা করে। YWCA এর ছাদটা সবচাইতে সুন্দর, সেখান থেকে পূর্ণিমা দেখতে অসাধারণ লাগে।



অন্যান্য গেস্ট হাউসঃ


এছাড়া দুর্গাপুরে আরও কিছু মধ্যম মানের হোটেল আছে,


স্বর্ণা গেস্ট হাউস ………………………………………01712284698, ০১৭২৮৪৩৮৭১২


হোটেল সুসং ……………………………………………০১৯১৪৭৯১২৫৪


হোটেল গুলশান  ……………………………………….০১৭১১১৫০৮০৭


হোটেল জবা. …………………………………….01711186708,  01753154617


নদীবাংলা গেষ্ট হাউজ  …………………………...01771893570,  01713540542)




 এসব হোটেলে ১৫০-৪০০ টাকার মধ্যে থাকার ব্যাবস্থা আছে।


আপনি বনে জঙ্গলে থাকতে এসে পাচ তারকা হোটেল এর সার্ভিস আশা করতে পারেন না। তবে আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি তাদের আন্তরিকতা এবং সেবা আপনাদের ভাল লাগবেই।


খাওয়া দাওয়াঃ

  খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা নিয়ে আপনাদের একেবারেই চিন্তা না করলেও চলবে। যে গেস্ট হাউস এ থাকবেন তারাই সুলভ মুল্যে ভাল খাবারের ব্যাবস্থা করে দিবে। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক/ তালুকদার প্লাজার সামনে অবস্থিত হোটেল শান্ত এবং হোটেল পুস্প তে ভাল মানের এবং সুলভ মুল্যে খাবার পাওয়া যায়।

 ........................................................................................................................।



 সুসং দুর্গাপুরে দেখার কি কি আছেঃ

সুসং দুর্গাপুর। নেত্রকোনা জেলার উত্তর প্রান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশের এক জনপদের নাম। যেখানে বয়ে গেছে টলটলে জলের সোমেশ্বরী আর দিগন্ত হারিয়েছে আকাশ ছোঁয়া সবুজ পাহাড়ে। ছোট্ট একটি জায়গা যার পরতে পরতে জড়ানো সৌন্দর্য।



সুসং দুর্গাপুরের দর্শনীয় স্থান সমুহঃ

গারো পাহাড়ঃ
গারো পাহাড় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো-খাসিয়া পর্বতমালার একটি অংশ। এর কিছু অংশ ভারতের আসাম রাজ্য ও বাংলাদেশের নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি প্রায় ৮০০০ বর্গ কিলোমিটার। সুসং দুর্গাপুর এর উত্তর সিমান্তে নলুয়াপাড়া, ফারংপাড়া, বাড়মারি, ডাহাপাড়া, ভবানিপুর , বিজয়পুর ও রানিখং সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এর বিস্তার। এই পাহাড়ে প্রচুর পরিমানে মুল্যবান শাল গাছ প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এই পাহাড় গুলো প্রাকৃতিক মনোরম সৌন্দর্যের আধার।
প্রকৃতি প্রায় ঝুলি উজাড় করে দিয়েছে এ গারো পাহাড়কে সাজাতে। বিচিত্র স্বাদের প্রকৃতির অলংকার যেন মানায় এই ভূস্বর্গকেই। পাহাড়-পর্বত, ছোট ছোট নদী, পাহাড়ী ঝরণা, শাল-গজারীসহ নানা প্রজাতির গাছ, সৌন্দর্য-মেশা উঁচুনীচু পথ দিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখার মজাই আলাদা। সবুজে সবুজে উদ্ভাসিত এই গারো পাহাড়। পাহাড়ের অসমতল উঁচুনীচু টিলার মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে ঝরণা। যার স্বচ্ছ জলরাশিতে ভেসে ওঠে আগন্তুকের প্রতিচ্ছবি। দু'পাহাড়ের মাঝে মাঝে সমতল ভূমি। সমতল ভূমিতে সবুজ শস্য ক্ষেত। পাহাড়ে পায়ে চলার দুর্গম পথে চলাচল করে পাহাড়ী মানুষ। কোথাও কোথাও টিলার ওপর দেখা যাবে ছোট ছোট কুড়ে ঘর। সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে নীল আকাশ। সব মিলিয়ে আল্লাহর সৃষ্টিতে ভরপুর এই পাহাড়। যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ঝিনাইগাতীর এই পাহাড়ী এলাকায় বসবাস করে বিভিন্ন শ্রেণীর আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। তার মধ্যে গারো, হাজং, কোচ, মুরং উল্লেখযোগ্য। এ সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা যুগ যুগ ধরে নিজ নিজ কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা লালন করে সৌন্দর্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর সীমান্ত হচ্ছে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা। পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় এখানকার আর্থসামাজিক অবস্থা অনেকটা ভিন্ন। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্যে সর্বক্ষেত্রে এ এলাকাটি পশ্চাদপদ। অধিকাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। কৃষি অর্থনীতি মূলতঃ পাহাড়ের ঢালে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি এবং নদী ও পাহাড়ী ঝরণা অববাহিকায় ধান চাষ হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে পাথরের ও নদী থেকে উত্তোলিত বালির ব্যবসা প্রধান। এলাকার দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ প্রতিদিন সকালে কোদাল-সাবল, বাঁশের খাঁচা নিয়ে পাহাড়ে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে পাথর তুলে পাথর ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে অথবা দিনমজুরী হিসেবে শ্রম বিক্রি করে দিনাতিপাত করে। উপজাতিরা পাহাড়ে লাকড়ি কেটে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। পাথর উত্তোলনের ফলে দরিদ্র শ্রেণীর শ্রমিকদের উপকার হলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পাথর তোলাতে পরিবেশের ভারসাম্য দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী। বর্তমানে গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে, বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ফলের বাগান করা হচ্ছে। তাতে আম, কাঁঠাল, আনারস ও লেবু প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া মসলা জাতীয় ফসল যেমন হলুদ, আদাও প্রচুর হচ্ছে। সরকারিভাবে এসব উদ্যোগ গ্রহণ করলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা যেতো। এ পাহাড়ের গজনীতে গড়ে ওঠেছে ‘‘গজনী অবকাশকেন্দ্র’’। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার মানুষ পিকনিক, শিক্ষা সফরে আসে। সে সময় মুখরিত হয়ে ওঠে পাহাড়ী অঞ্চল। ভারতের সীমান্তঘেঁষা গহীন অরণ্য, মনোরম আবহাওয়া এবং বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, উপজাতীয়দের সংগীতে মুখর। সব মিলিয়ে এলাকাটি আপনাকে দেবে অনাবিল আনন্দ। ছবির মতো সুন্দর এই গারো পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে বসে দেখা যায় গভীর জঙ্গল। উত্তর দিকে চোখ দিলে দেখা যাবে ভারতের বেশ কিছু অংশ। উপজেলা সদর থেকে পাহাড়ী এলাকা বেশ দূরে হওয়ায় এখানের লোকজন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে অনেকটা বঞ্চিত। তারপরেও রয়েছে বন্য হাতীর অত্যাচার। ফলে এখানকার জনসাধারণ আতংক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করে। এতসব শংকার পরেও যারা পাহাড়ে ভ্রমণ করতে চায় তাদেরকে গারো পাহাড় নিশ্চিত আনন্দ দিবে উজার করে।

সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িঃ

এক সময় দুর্গাপুর ছিল সুসং রাজ্যের রাজধানী। ৩ হাজার ৩শ' ৫৯ বর্গমাইল এলাকা ও প্রায় সাড়ে ৯শ' গ্রাম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সুসং রাজ্যের রাজধানী ছিল দুর্গাপুর। বর্তমানে এটি নেত্রকোনার একটি উপজেলা। সোমেশ্বর পাঠক থেকে শুরু করে তাঁর পরবর্তী বংশধররা প্রায় ৬৬৭ বছর শাসন করেন এ রাজ্য। কিন্তু রাজকৃষ্ণ নামে এক রাজার শাসনামল থেকে সুসং রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাজপরিবারে বিরোধের সূত্রপাত হয়। ফলে এক সময় গোটা রাজ্য চারটি হিস্যায় ভাগ হয়ে যায় এবং চারটি পৃথক রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়িগুলো 'বড় বাড়ি', 'মধ্যম বাড়ি', 'আবু বাড়ি' (ছোট অর্থে) ও 'দু'আনি বাড়ি' নামে পরিচিত ছিল। '৪৭-এর দেশ বিভাগ এবং পরবর্তীতে '৫৪ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ আইন পাস হবার পর রাজবংশের সদস্যরা ভারতে চলে যান। আর এর মধ্য দিয়েই অবসান ঘটে অনেক শৌর্য-বীর্যখ্যাত সুসং রাজ্যের।[৬]
সুসং রাজবাড়ি দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। পরিখাবেষ্টিত রাজবাড়ির অভ্যন্তরে ছিল সৈনিকদের আবাস, বিচারালয়, কারাগৃহ, অস্ত্রাগার, চিড়িয়াখানা, হাতিশালা, রাজপরিবারের সদস্যদের প্রাসাদ, শয়নকক্ষ, কাছারি, বৈঠকখানা ইত্যাদি। ১৩০৪ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সুসং রাজ্যের রাজা জগতকৃষ্ণ সিংহ প্রাচীর চাপা পড়ে নিহত হন এবং রাজবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে যে নিদর্শনগুলো টিকে আছে তার অধিকাংশই জগতকৃষ্ণের পরবর্তী বংশধরদের নির্মিত।
সুসং রাজাদের 'বড় বাড়ি'র সামনে তিনতলা একটি বড় ঘরকে 'রংমহল' বলা হতো। দেশ বিভাগের পরও ঘরটি ছিল। ১৯৭০ সালে সেখানে সুসং ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ রংমহলের ভগ্নপ্রায় ঘরটি বিক্রি করে দেয়। একটি পানির ইঁদারা ও সীমানা প্রাচীর ছাড়া বড় বাড়ির কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই এখন। 'মধ্যম বাড়ি'র বাইরের পূর্ব দিকের একটি ঘর এখন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বাড়ির একটি কাছারি ঘর ব্যবহৃত হচ্ছে দুর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে। ১৯৬৯ সালে মধ্যম বাড়ির অভ্যন্তরের কয়েকটি ঘর নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে দক্ষিণ পাশের একটি ঘর (রাজাদের বাসগৃহ) প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, উত্তর দিকের ঘরটি (রাজাদের বাসগৃহ) বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকের ঘরটি এখনও শিক্ষক-শিক্ষিকার মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বাড়িতে আর আছে একটি পুকুর যা এখনও 'রাজবাড়ির বড় পুকুর' নামে পরিচিত। 'আবু বাড়ি'তে স্বাধীনতার চার-পাঁচ বছর আগেও অমরেন্দ্র সিংহ শর্মা নামে সুসঙ্গ রাজবংশের এক সদস্য বসবাস করতেন। এলাকায় তিনি 'মিনি বাহাদুর' নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর দেশত্যাগের পর ওই বাড়ির কয়েকটি ঘর বিভিন্ন সময় সরকারী কর্মকর্তাদের বাসাবাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই ঘরটি এখন প্রায় পরিত্যক্ত। এর ভেতর বাড়ির পেছনের ঘরটিতে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় 'সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতন' নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, দু'আনি বাড়ির অনেক স্মৃতিচিহ্ন এখনও অক্ষত আছে। বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন গোপাল দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি রাজবাড়ির সাবেক কর্মচারী সাধুচরণ দাসের পৌত্র। এ বাড়ির সামনের ঘর (যেখানে রাজারা বসবাস করতেন), পুজোমন্ডপ ও পানির ইঁদারা আজও রাজবংশের স্মৃতি বহন করে চলেছে। পুজোমন্ডপটি 'নিত্যপূজামন্ডপ' হিসেবে পরিচিত। সেখানে আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজো ছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন ধর্মীয় পুজো-পার্বণ হয়। কাঠের তৈরি এ ঘরগুলোর নির্মাণশৈলীও বেশ নান্দনিক। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
এছাড়াও দুর্গাপুরের সুসঙ্গ রাজাদের স্মৃতিচিহ্নকে আজও ধরে রেখেছে ১৯১৮ সালে স্থাপিত মহারাজা কুমুদচন্দ্র মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, দশভুজা মন্দির (যেখানে সোমেশ্বর পাঠক প্রথম ধর্মীয় উপসনালয় স্থাপন করেছিলেন) ও রাজবাড়ির এক ম্যানেজারের বাসভবন। মহারাজা কুমুদচন্দ্র মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়টি দুর্গাপুরের প্রথম উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ সরকারী। দশভুজা মন্দিরটি পরিচালিত হয় একটি কমিটির মাধ্যমে। এটি স্থানীয় হিন্দু সমপ্রদায়ের অন্যতম উপাসনালয়।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীঃ

দুর্গাপুরের বাসস্ট্যান্ড এর পাশেই অবস্থিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী । এ অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার নানা নিদর্শন সংরক্ষিত আছে এখানে। সুসং দুর্গাপুর ও এর আশপাশের উপজেলা কলমাকান্দা, পূর্বধলা, হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়ায় রয়েছে গারো, হাজং, কোচ, ডালু, বানাই প্রভৃতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এদের জীবনধারা যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি বৈচিত্র্যময় এদের সংস্কৃতিও। তাদের এসব ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং চর্চার জন্যই ১৯৭৭ সালে সুসং দুর্গাপুরে তৎকালীন রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর সময়কালে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী । এখানে প্রায় সারা বছরই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

টংক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধঃ

১৯৪৬-৫০ সালে তখনকার জমিদার বাড়ির ভাগ্নে কমরেড মণিসিংহের নেতৃত্বে জমিদারদেরই বিরুদ্ধে শুরু হয় টঙ্ক আন্দোলন।
টঙ্ক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, দুর্গাপুর
টংক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে কিছ দূর গেলে এম.কে.সি.এম হাই স্কুলের পাশে গেলেই চোখে পড়বে এ স্মৃতিসৌধটি। মরহুম রাজনীতিবিদ জালাল উদ্দিন তালুকদারের দানকৃত জমিতে এ স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর কমরেড মণিসিংহের মৃত্যু দিবসে এখানে পাঁচ দিনব্যাপী মণিসিংহ মেলা নামে লোকজ মেলা বসে।

সাধু যোসেফের ধর্মপল্লীঃ

সুসং দুর্গাপুর থেকে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রিকশায় যেতে হয় রানিখং গ্রামে। এখানে আছে সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী। রানিখং গ্রামের এ ক্যাথলিক গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১২ সালে।

হাজং মাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধঃ

দুর্গাপুর বাজার থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে কামারখালী বাজারের পাশে বহেরাতলীতে অবস্থিত রাশিমণি এই স্মৃতিসৌধ।
সীমান্তবর্তী, গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘বগাঝরা’ নামক গ্রামটি ছিল ব্রিটিশবিরোধী গ্রামগুলোর মধ্যে একটি।রাশিমণি সেই গ্রামেরই একজন প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন।ব্রিটিশ মহাজন ও জোতদারদের অন্যায় নীতির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়ান এবং হয়ে ওঠেন টংক আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী। টংক আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে কৃষক আন্দোলন। টংক মানে ধান কড়ারি খাজনা। টংক প্রথার শর্তানুসারে জমিতে ফসল হোক-বা না-হোক চুক্তি অনুযায়ী টংকের ধান জমির মালিককে দিতেই হত। ফলে কোন বছর যদি জমিতে ফসল না হয় বা খরা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে শস্য নষ্ট হয়ে যায় তবুও কৃষককে তার নির্ধারিত খাজনা পরিশোধ করতেই হত। এতে হাজংসহ অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায় এবং ওই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকসমাজ অর্থনৈতিকভাবে দুরবস্থায় পড়ে। টংকের ধান সময় মতো পরিশোধ করতে না পারলেই কৃষকদের ওপর নেমে আসত অত্যাচার-নিপীড়ন। টংকপ্রথা কৃষকদের জন্য ছিল একটি অভিশাপ। সে জন্য তারা টংকের হাত থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ বা আন্দোলন গড়ে তোলেন। রাশিমণির নেতৃত্বে হাজংরা প্রথমে টংকের কুফল বিষয়ে সচেতনায়নে গ্রামে গ্রামে বৈঠক করেন। পরে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে কৃষকরা একপর্যায়ে জমিদারদের টংক ধান দেয়া বন্ধ ঘোষণা করেন। তৎক্ষণাৎ এর ফল হিসেবে টংক চাষিদের ভাগ্যে নেমে আসে দুর্ভোগ। মূলত হাজং কৃষকরা প্রথমে টংক প্রথা উচ্ছেদের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রথমে তারা জমিদার গোষ্ঠীর সঙ্গে অতঃপর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। হাজংদের এ টংক ও জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দানে এগিয়ে আসেন কমরেড মণিসিংহ। ১৯৩৮ সাল থেকে টংক আন্দোলন শুরু হয় কিন্তু তার বহু পূর্ব থেকেই হাজংরা এ আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন; রাশিমণি হাজংয়ের নেতৃত্বে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা অঞ্চলে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, দুর্গাপুরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস বাহিনীর সশস্ত্র ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এসব বাহিনী বিভিন্ন গ্রামে হানা দিয়ে বিদ্রোহী হাজং কৃষকসহ অন্য কৃষকদের খুঁজতে শুরু করে। সে লক্ষ্যেই ৩১ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস বাহিনী দুর্গাপুর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে বহেরাতলী গ্রামে তল্লাশি চালায়। কিন্তু এদিনে সে গ্রামের বিদ্রোহী কৃষক নর-নারীরা প্রতিবেশীদের টংকবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অবশেষে বহেরাতলী গ্রামে কাউকে না পেয়ে ক্ষিপ্ত বাহিনী লংকেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ও আন্দোলনকর্মী কুমুদিনী হাজংকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়। কুমুদিনী হাজং তখন মাত্র ১৭ বছরের নারী। হাজং গ্রামগুলোতে কুমুদিনীকে ধরার সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রাশিমণি তার হাজং নারী-পুরুষ দল নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পথরোধ করেন। এ সময় বিপ্লবী রাশিমণি হাজং কুমুদিনী হাজংকে বাঁচাতে সেই সশস্ত্র বাহিনীর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই বলে, ‘ময় তিমাদ, তিমাদ হুয়ে আরেগ তিমাদলা মান ময় বাঁচাব, মরিবা লাগে মুরিব।’ অর্থ: ‘আমি নারী, নারী হয়ে আরেক নারীর সম্ভ্রম রক্ষা আমিই করব, মরতে হয় মরব।’ সশস্ত্র বাহিনীও নৃশংসভাবে তাদের ওপর গুলি চালায়। ফলে এক সময় পেছন থেকে আসা গুলিতে রাশিমণি হাজং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পেছনে পুরুষ দলের নেতা সুরেন্দ্র হাজং রাশিমণিকে ধরতে গেলে তাকেও নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাকি আদিবাসীরা পুলিশদের মেরে ঘায়েল করা শুরু করলে অবশেষে তারা কুমুদিনীকে রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এভাবেই শহীদ হন আদিবাসী নেত্রী রাশিমণি হাজং। অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একজন নারীর সম্ভ্রম রক্ষার্থে তার এ আত্মত্যাগ আজও তাকে অমর করে রেখেছে। একজন নারী হয়ে নারীর সম্ভ্রম রক্ষার্থে জীবন বিসর্জন দিয়ে রাশিমণি এখন ‘হাজংমাতা’ হিসেবে পরিচিত। ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বহেরাতলী গ্রামের তার মৃত্যুসংলগ্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে ‘হাজংমাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধ’। প্রখ্যাত কবি রফিক আজাদ রাশিমণিকে নিয়ে তার ‘মাতা রাশিমণি’ কবিতায় লিখেছেন, ‘রাশিমণি একটি নাম, জীবন-সমান দীর্ঘ নাম।

সাদা মাটির পাহাড়ঃ

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের শসার পাড় এবং বহেরাতলী গ্রামে সাদা মাটি অবস্থিত। এখান থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে পাহাড়ের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট পুকুরের মতো গভীর জলাধার। পাহাড়ের গায়ে স্বচ্ছ নীল রঙের জলাধার গুলো দেখতে অত্যন্ত চমৎকার।
বাংলাদেশের মধ্যে প্রকৃতির সম্পদ হিসেবে সাদা মাটির অন্যতম বৃহৎ খনিজ অঞ্চল এটি। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলে সাদামাটির পরিমাণ ধরা হয় ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন, যা বাংলাদেশের ৩ শত বৎসরের চাহিদা পুরণ করতে পারে।
চিনা মাটির প্রাচীন ইতিহাস না জানা গেলেও ১৯৫৭ সাল থেকে এ মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম কোহিনুর এলুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সাদামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করে। পরে ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি সাদামাটি উত্তোলনে যোগ দেয়। বর্তমানে ৯টি কোম্পানী এই সাদামাটি উত্তোলনের কাজ করছে। প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক এই মাটি উত্তোলনের সাথে জড়িত। বিভিন্ন রংয়ের মাটি, পানি ও প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনকে বিমোহিত করে। সাদা, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, খয়েরী, নীলাভ সহ বিভিন্ন রংয়ের মাটির পাহাড় চোখকে জুড়িয়ে দেয়। সাদামাটি এলাকার আশপাশ জুড়ে বেশ কয়েকটি আদিবাসী বসতি রয়েছে তবে তারা সংখ্যায় অনেক কম। অধিবাসীদের অধিকাংশই বাঙালি মুসলমান।

সোমেশ্বরী নদী

সোমেশ্বরী নদী স্বচ্ছ পানি আর ধুধু বালুচরের জন্য বিখ্যাত। সোমেশ্বরী নদী বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় প্রবাহিত একটি নদী। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া প্রভৃতি ঝর্ণাধারা ও পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদীর স্রোতধারা একত্রিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীর সৃষ্টি। । ৬৮৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সোমেশ্বর পাঠক নামে এক সিদ্ধপুরুষ অত্র অঞ্চলকে বাইশা গারো নামের এক অত্যাচারী গারো শাসক এর হাত থেকে মুক্ত করে নেয়ার পর থেকে নদীটি সোমেশ্বরী নামে পরিচিতি পায়। মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা বাজার (পূর্ব নাম বঙ বাজার) হয়ে বাংলাদেশের রাণীখং পাহাড়ের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাণীখং পাহাড়ের পাশ বেয়ে দক্ষিণ দিক বরাবর শিবগঞ্জ বাজারের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী নদী বরাবর পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। সেই পথে কুমুদগঞ্জ বাজার হয়ে কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল তালুকদার সাহেবের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাকলজোড়া, সিধলি, কলমাকান্দা, মধ্যনগর হয়ে ধনু নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে সোমেশ্বরী। সোমেশ্বরীর মূলধারা তার উৎসস্থলে প্রায় বিলুপ্ত। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য কোন মৌসুমে পানি প্রবাহ থাকে না। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে পাহাড়ীয়া ঢলে সোমেশ্বরী বরাবর দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে নতুন গতিপথের সৃষ্টি করেছে। যা স্থানীয় ভাবে শিবগঞ্জ ঢালা নামে খ্যাত। বর্তমানে এ ধারাটি সোমেশ্বরীর মূল স্রোতধারা। এ স্রোতধারাটি চৈতালি হাওর হয়ে জারিয়া-ঝাঞ্জাইল বাজারের পশ্চিমদিক দিয়ে কংশ নদী সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে পাহাড়ীয়া ঢলে আত্রাখালি নদী নামে সোমেশ্বরী নদীর একটি শাখা নদীটির সৃষ্টি হয়। সুসঙ্গ দুর্গাপুর বাজারের উত্তর দিক দিয়ে সোমেশ্বরী নদী থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে আতরাখালী। কিছু দূর এগিয়ে সোমেশ্বরীর মূলধারা সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কংশ নদীঃ
কংশ নদী ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগের তুরার কাছে গারো পাহাড়ে এই নদীটির উৎপত্তি। উৎস থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলা সদরের প্রায় ১৬ কি.মি. উত্তর দিয়ে কংস বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীতে মিশেছে। কংস ও সোমেশ্বরী মিলিত স্রোত বাউলাই নদী নামে পরিচিত। প্রবাহ পথে নদীটি ফুলপুর, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা, র্দুর্গাপুর, নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।


আত্রাখালি নদী
আত্রাখালি নদী সুসঙ্গ দুর্গাপুর বাজারের উত্তর দিক দিয়ে সোমেশ্বরী নদী থেকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। কিছু দূর এগিয়ে সোমেশ্বরীর মূলধারা সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আত্রাখালি নদী এখন বেশ খরস্রোতা। আবার সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৪ সালের ভয়াবহ বন্যার পর আত্রাখালি থেকে নয়া গাঙ নামের আর একটি স্রোত ধারা উত্তর দিকে সৃষ্টি হয়েছে।


আরও বিস্তারিত যে কোন তথ্যের জন্য এই লিঙ্ক এ যোগাযোগ করতে পারেন


সংশ্লিষ্ট লিংক :  https://www.facebook.com/susangdurgapur.bd
এর বাইরে যদি কারও কোন প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকে তবে এই লিঙ্কে, অথবা লিঙ্কে দেয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করবেন।

উইকিপিডিয়া লিঙ্কঃ  https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE





লিখাঃ রাহাত জামান অভি

অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক কিছু মুভির তালিকা

1. Vertical Limit (1999)
2. touching the void
3. nordwand
4. 127 Hours
5. Into the wild
6. Into thin air
7. Great white
8. Nanga parbat
9. The Motorcycle Diary
10. The Wildest Dream
11. third man on the mountain
12. Everest 1998 (imax)
13. The beckoning silence
14. one week
15. The secret life of walter mitty
16. Amazonia
17. The Mission
18. The Way Back
19. alive
20. cliffhanger
21. the mountain
22. the climb
23. miracle on the everest
24. Zurrasic Park
25. Cast away
26. Indiana Jones
27. National Treasure
28. seven years in Tibet
29. the way
30. Life Cycle
31. চাঁদের পাহাড়
32. encounters at the end of the world
33. Up
34. The darjeeling limited
35. দিপু নাম্বার টু
36. এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী
37. As Far as My Feet Will Carry Me (2001)
38. Buried (2010)
39. Deliverance (1972)
40. The Edge (1997)
41. Escape from Alcatraz (1979)
42. Open Water (2003)
43. the blue lagoon
44. 180° South
45. Tracks (2013)
46. kon-tiki
47. without a paddle
48. Sanctum
49. The call of the Wild
50. A Perfect Gateway
51. Apocalypto (2006)
52. The Bridge on the River Kwai (1957)
53. The Treasure of Sierra Madre (1948)
54. Moby Dick (1956)
55. Mountain of the Moon (1990)
56. The Call of The Wild (1935)
57. K2:The Ultimate High (1992)
58. The Giant of the Dolomites (1927) [Italian]
59. Seven Seas to Calais (1962) [Italian]
60. Aguirre, The Wrath of God (1972) [German]
61. North Face (2008) [German]
62. The Prisoners of Volga (1959) [German]
63. The Dark Glow of The Mountain (1984) [German]
64. Messner (2012) [German]
65. Kings of Summer
66. The north face
67. The Art of Travel
68. Stand by me

মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া

আমাদের দেশের অনেকেই এখন বনে বাদাড়ে এবং ম্যালেরিয়া জোনে ঘুরে বেড়ায়, যেখানে মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সুতরাং মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য  তাদের কিছু জরুরী তথ্য জেনে রাখা ভাল।
মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ২ টা উপায় আছে - মশাকে দূরে রাখা অথবা মেরে ফেলা। যেটাই ব্যবহার করতে চান, ভাল করে লেভেল পড়ে নিবেন, সেখানে আসলে কি কি কেমিক্যা্ল বা উপকরন (ingredients) আছে।

মশা মারার ঔষধঃ  
মশা মারার স্প্রে বা কয়েল পাওয়া যায়, যার প্রধান উপকরন Pyrethrins, Pyrethroids, Allethrin, বা Esbiothrin। এই উপকরনগুলোর কারনেই মশা মারা যায় এবং এই উপকরনগুলো মানুষের ক্ষতি করে না। এই উপকরনগুলোর কোনটাই যদি না থাকে, তাহলে সেটা উপকারী না, হয়তো ভিন্ন কোন বিষাক্ত উপকরন যুক্ত করা আছে বা থাকতে পারে , যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু বনে জংগলে গেলে তো আর মশা মারার কয়েল বা  স্প্রে ব্যবহার করতে পারবেন না, সেখানে মশা দূরে রাখার  (insect repellent বা mosquito repellent) স্প্রেবা ক্রীম ব্যবহার করতে হবে।  

মশা দূরে রাখার ঔষধঃ
মশা বা অনেক পোকামাকড়ের কামড়ের হাত থেকে তাদেরকে দূরে রাখার জন্য স্প্রে বা ক্রীম পাওয়া যায়, যাকে বলে Mosquito বা  Insect repellent স্প্রে বা ক্রীম।
Mosquito বা  Insect repellent এ ২ ধরনের উপাদানই আসল, এ দুটির একটাও যদি না থাকে,তাহলে সেটা একেবারেই অনুপযুক্ত। প্রধান উপকরন ২ টা হলো Ethyl butylacetylaminopropionate (IR3535)এবং Diethyl Tolumide (DEET)। কোনটাতে IR3535 থাকে, আবার কোনটাতে DEET থাকে। তবে আমাদের মতো দেশে বা যে কোন গরম দেশে IR3535 ভালমতো কার্যকর নয়, তাই আমাদের মতো গরম দেশে DEET যুক্ত স্প্রে বা ক্রীমই কেনা উচিত।
DEET কতটুকু থাকা উচিত, সেটা নির্ভর করে কোথায় যাওয়া হচ্ছে তার উপর, যেখানে ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেখানে DEET এর পরিমান ৫০% থাকা উচিত, বা এর চেয়ে যত বেশী হয় তত ভাল। আমাদের দেশে চিটাগাং,খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি ম্যালেরিয়া জোনে পড়ে, সুতরাং সেখানে উচ্চ DEET যুক্ত  স্প্রে বা ক্রীম ব্যবহার করা ভাল। প্রতিবছরই সেখানে অনেক মানুষ ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয় এবং কিছু মারাও যায়।

মশা দূরে রাখার তেলঃ
Citronella oil নামে এক ধরনের তেল পাওয়া যায়, যা বানানো হয়   Cymbopogon ( lemongrass নামেও পরিচিত) গাছ থেকে। এটা এক প্রকার essential oil.  মশা  তাড়ানোর কাজে এটাও অনেক জায়গাতে  ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আসল বা ভালটা পাওয়া মুশকিল। তার উপর ম্যালেরিয়া জোনে এটার ভাল কার্যকারিতা নিয়ে এখনো তেমন  প্রমান নাই বা জরিপও হয় নাই।

ক্রয়ের সময়ে সতর্কতাঃ
ভাল করে লেভেল পড়ে নিবেন, সেখানে কি কি উপকরন আছে। যে যে উপকরন মশা মারার বা তাড়ানোর কাজে লাগবেই, সেটা না থাকলে কিনবেন না।

ম্যালেরিয়া জোনের ম্যাপঃ
এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকার অনেক দেশের অনেক অঞ্চল এখনো ম্যালেরিয়া জোনে পড়ে। সুতরাং কোথাও যাওয়ার আগে ম্যালেরিয়ার ম্যাপ দেখে নেয়া ভাল। UK, USA এর স্বাস্থ্য  বিভাগ ছাড়াও WHO এর ওয়েব সাইট থেকে ম্যাপ পাওয়া যাবে। UK এর স্বাস্থ্য বিভাগের লিংক দিলাম, এটাই সবচেয়ে সহজে ব্যবহার করা যায়।
http://www.fitfortravel.scot.nhs.uk/destinations/asia-(east)/bangladesh/bangladesh-malaria-map.aspx

শেষ কথাঃ
মশা কামড়ানোর সেই দিনেই ম্যালেরিয়াতে কেউ আক্রান্ত হবে, তাওনা। অনেকের শরীরে জীবানু থেকে যায় এবং বছরখানেক পরেও  ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়। সুতরাং কোন ঝুঁকি না নিয়ে উচ্চ DEET যুক্ত স্প্রে বা ক্রীম ব্যবহার করা ভাল। যে স্প্রে বা ক্রীমই কিনেন না কেন, ভাল করে দেখে নিবেন সেখানে DEET আছে কিনা, এবং কতটুকু আছে। DEET না থাকলে সেটা ব্যবহার করা আর না করা সমান কথা। আমাদের মতো দেশে DEET ৫০% বা বেশী থাকা স্প্রে বা ক্রীম ব্যবহার করাই ভাল।

কুয়াকাটা / Kuakata [Detailed & Updated]

যারা বিভিন্ন ছুটিতে ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বেড়িয়ে আসতে চান, তাদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য :
--------------------------- মূল তথ্যগুলো প্রদানে সহযোগিতা করেছেন : "রাকিব কিশোর"...
এছাড়াও নতুন নতুন তথ্য দিয়ে নোটটাকে প্রতিনিয়ত আপডেট করেছেন : "সালেহীন আরশাদী"...

এই নোটে যা আছে -

  • ঢাকা থেকে কি কি উপায়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়?
  • কোথা থেকে বাস ছাড়ে? বাসের সময়সূচি?? বাস ভাড়া?? পৌঁছাতে কতক্ষন লাগে??
  • লঞ্চ সার্ভিস ? সময়সূচি? ভাড়া? কতক্ষন লাগে?
  • লঞ্চ দিয়ে ভায়া পটুয়াখালি হয়ে যাওয়ার উপায়? পটুয়াখালির বাস সার্ভিস এর তথ্য।
  • লঞ্চ দিয়ে ভায়া বরিশাল হয়ে কিভাবে যাওয়া যায়?
  • আনান্য স্থান থেকে কুয়াকাটা যাবার ব্যবস্থা
  • রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা?
  • কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান কি কি?
  • ফাটরার চর আর যা যা চর আছে তার তথ্য?
  • কুয়াকাটার হোটেল গুলোর তথ্য?
  • খাবার দাবার এর তথ্য
  • খরচ
  • টিপস
  • গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


এর বাইরেও অন্য কোন জিজ্ঞাসা থাকলে সবাই করতে পারেন। আশা করি আবার সবাই এক সাথে মিলে আমরা সুন্দর একটা তথ্য ভান্ডার তৈরি করতে পারবো...

=====================================================


  • ঢাকা থেকে কি কি উপায়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়?

ঢাকা থেকে দুইভাবে কুয়াকাটা যাওয়া যায়
* বাসে করে ডাইরেক্ট কুয়াকাটা
* লঞ্চে করে পটুয়াখালী  বা বরিশাল হয়ে বাস বা মটর সাইকেলে করে কুয়াকাটা।

  • কোথা থেকে বাস ছাড়ে? বাসের সময়সূচি?? বাস ভাড়া?? পৌঁছাতে কতক্ষন লাগে??

ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস এখন সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ঢাকা থেকে "সাকুরা পরিবহন" , ছাড়াও কুয়াকাটা এক্সপ্রেস আর বিআরটিসি পরিবহনের বাস সরাসরি কুয়াকাটায় যায়। আপনি এসব বাসে গেলে আপনাকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ২০০ মিটার দূরে নামিয়ে দিবে। ‘সাকুরা’ পরিবহনের বাসটা ভালো সার্ভিস দেয়, গাবতলী থেকে ছাড়ে। ঢাকা থেকে  ছাড়ে রাত ৯টার দিকে, তবে কুয়াকাটা থেকে ঠিক সন্ধ্যা ৬.৩০ এ, এর পর গেলে বাস মিস করবেন। 
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা বাসে যেতে মোট সময় লাগে প্রায় ১৩ ঘন্টা  তবে কুয়াকাটা থেকে আসতেসময় লাগে প্রায় ১১ঘন্টা।

তাছাড়া সোনারতরী,গোল্ডেনলাইন সহ অনেক বাস গাবতলী থেকে কলাপাড়া যায়, সেখান থেকেও বাস অথবা অটোতে কুয়াকাটা যেতে পারবেন। সার্ভিস ভালো। মিরপুর অথবা উত্তরার মানুষ জন ঈগলে করে কলাপাড়া যেতে পারবেন। 
  • লঞ্চ সার্ভিস ? সময়সূচি? ভাড়া? কতক্ষন লাগে?

  • লঞ্চ দিয়ে ভায়া পটুয়াখালি হয়ে যাওয়ার উপায়? পটুয়াখালির বাস সার্ভিস এর তথ্য।
লঞ্চ অনেক ভালো একটা অপশন, ঢাকার সদরঘাট থেকে
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ থেকে ৭টা ৩০ এর দিকে কুয়াকাটা ১, সুন্দরবন ৯/১১, জামাল ৫, কাজল ৭ ইত্যাদি লঞ্চ ছেড়ে যায়। সবদিন সব লঞ্চ পাবেন না কারন এগুলো একদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে ফিরে আসে পরদিন।
লঞ্চ ভাড়া ১৮০ টাকা করে (ডেক), আর কেবিনে গেলে ৯০০ টাকা সিঙ্গেল, ১৬০০ টাকা ডাবল, ৪৫০০টাকা ভিআইপি। আগে থেকে বুকিং দিয়ে না রাখলে কেবিন পাবেন না।৫টা৩০ থেকে ৬টা৩০ পর্যন্ত সৈকত, বাগেরহাট ২ নামের গলাচিপার কিছু লঞ্চ ছাড়ে যেগুলো ভায়া পটুয়াখালি হয়ে যায়। ভুলেও উঠবেননা। আগে ছাড়লেও সব ঘাট ধরে সবার পরে পৌছাবে।


লঞ্চ দিয়ে সকালে (৬টা-৭টা) পটুয়াখালী নেমে একটা রিক্সা(ভাড়া ৩০ টাকা)  বা অটো (জনপ্রতি ১০টাকা) নিয়ে  বাস স্ট্যান্ডে চলে আসতে হবে।
সেখানে খাওয়া দাওয়ার দোকান নাই :( তবে সকালের নাস্তা খেতে হলে আপনাকে একটু পিছিয়ে চৌরাস্তার মোড়ে যেতে হবে, সেখানে ভালো কিছু পরটা পাবেন, হোটেলগুলোর মান একদমই ভালো না।
এখান থেকে (চৌরাস্তা) মোটর সাইকেল পাওয়া যায়, এক মোটর সাইকেলে ২ জন জাত্রী বসা যাবে, ডাইরেক্ট কুয়াকাটা পর্যন্ত ভাড়া নিবে ৬০০-৮০০ টাকা (তুমুল দরদাম করতে হবে)।
সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘন্টা।
আর যারা মোটর সাইকেল দিয়ে যেতে চান না, তারা বাসে করে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আবার আপনাদেরকে বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে, কুয়াকাটার বাসের টিকিট কাটতে হবে, ভাড়া নিবে ১৪০ টাকা।
পটুয়াখালি থেকে কলাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা অসাধারণ, রীতিমতন বিমান নামতে পারবে এমন, রানওয়ের মতন চকচকে। কলাপাড়া পার হলেই সামনে পড়বে একটা ফেরী, জান পানি করা মিশনের শুরু এখানেই :( হেলতে দুলতে ঝাঁকি খেতে খেতে, আর তিনটা ফেরীতে অপেক্ষা করতে করতে কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লেগে যাবে ২.৫ থেকে ৪.০ ঘন্টার মতন।


  • লঞ্চ দিয়ে ভায়া বরিশাল হয়ে কিভাবে যাওয়া যায় ?

বরিশাল থেকে কুয়াকাটাঃ

ইনফো ক্রেডিটঃ ( শাহরুখ আরমান)

ঢাকা থেকে বরিশাল এর লঞ্চ গুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। এর মধ্যে সুন্দর বন ৭/৮, সুরভী৮, পারাবত ১১,  কীর্তনখোলা ১/২ লঞ্চ গুলো ভাল।

লঞ্চ গুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর  ৫টার দিকে। ডেক ভাড়া  ১৫০ টাকা, ডাবল কেবিন ১৬০০, ভিআইপি ৪৫০০।

বরিশাল থেকে সরাসরি কুয়াকাটা যাওয়ার বাস ভাড়া ২২০ টাকা; ৪টা ফেরি পার হতে হবে, সময় লাগবে ৪-৫ ঘন্টা।

বরিশাল থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করে সরাসরি কুয়াকাটা পৌঁছানো সম্ভব। সেইক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশী পরবে। দামাদামি করলে ৩৫০০টাকার মধ্যে ভাড়া পাওয়া সম্ভব।সময় লাগবে ৩-৪ঘন্টা।


  • আনান্য স্থান থেকে কুয়াকাটা যাবার ব্যবস্থা
সৌদিয়ার বাস চট্টগ্রাম থেকে কলাপাড়া যায়।
খুলনায় আসার অনেক ভালো বাস পাওয়া যাবে।
খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় একটি বিআরটিসি বাস ছাড়ে।
খুলনা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় ৭/৮ ঘন্টা।
খুলনা থেকে বাসভাড়া ২৭০ টাকা।
উত্তরবঙ্গ থেকে আসতে চাইলে সৈয়দপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত রূপসা অথবা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে করে আসতে পারবেন। রাত্রের টেনে আসলে সকাল ৭ টার বিআরটিসি বাসে করে কুয়াকাটা যেতে পারবেন।


  • রাস্তা-ঘাটের কি অবস্থা?

পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত রাস্তা বিশ্বমানের। আর বরিশাল হয়ে গেলে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালি পর্যন্ত রাস্তা খুব একটা সুবিধার না, তবে একেবারে খারাপ ও না।

  • কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান কি কি?

কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে পড়ে

৩৬ ফুট লম্বা স্বর্ণের (!) বৌদ্ধ মূর্তি
সাগরের পাশেই বেড়ীবাধের উপরে আরেকটা বৌদ্ধ মূর্তি,
শুটকি পল্লীলেবুর চর
ফাতরার চর
লাল কাঁকড়ার দ্বীপ
মোহনীয় মায়াময়ী গঙ্গামতির চর, যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখা যায়।
যেই কুয়াটার নামে এই জায়গায় নামকরণ হয়েছে সেই কুয়া
(এটার অবস্থা খুবই খারাপ, লোকজন ময়লা ফেলে অস্থির করে রেখেছে)

আরো কিছু হয়তো আছে যা আমি জানি না।
কুয়াকাটা থেকে “সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে” যাওয়া যায়, সেখানকার লোকজন ওটাকে “নাই বাম” বলে। “নাই বাম” মানে হলো কোনো তল নাই, অরথাত ওখানে নোঙ্গর ফেলা যায়না।

সবচাইতে ভালো হয় কুয়াকাটা সি-বিচ থেকে একটা ট্রলার সারাদিনের জন্য ১০০০-১২০০ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সে-ই সব যায়গা দেখিয়ে নিয়ে আসবে, তবে বিকেল্টা অবশ্যই লেবুর চর   চরে কাটাবেন তারপর আশপাশের দোকান থেকে মাছ ভাজা খেয়ে হোটেলে ফিরবেন।
আমি একটা মাঝির নাম্বার দিতে পারি, সে অতীব সজ্জন মানুষ, তাঁর নাম ইদ্রিস – ০১৭৪৫৪২৬৯২৬...
এখানে যে জিনিসটা দেখে আমি সবচাইতে বেশী মুগ্ধ হয়েছি সেটা হলো এখানকার জেলেরা নৌকার নিচে চাকা লাগিয়ে সি-বিচে চালায়

  • কুয়াকাটার আশেপাশের চর ও তাদের বৈশিষ্ট্য

ঘুরাঘুরি করার মতন কয়েকটা সুন্দর চর রয়েছে –
* ফাতরার চর
(এখানকার গাছপালা কিছুটা হলুদ বর্ণের, আর বনের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলার পথটা অসম্ভব সুন্দর, বন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একসময়য় সাগরের দিকে বের হওয়া যায়, সেখানে একটা চুলা আছে যেখানে রাতে ক্যাম্পিং করে বারবিকিউ করা হয়...

* গঙ্গামতির চর
কুয়াকাটার সবচাইতে মায়াময় চর হলো এই গঙ্গামতির চর, মুল কুয়াকাটা থেকে এটাতে মোটরসাইকেল, ভ্যান এবং ট্রলারের করে যাওয়া যায়, এই চরে দুরন্ত সবুজ একটা বন রয়েছে, এই বলে বানর, শিয়াল আর অজগর সাপ পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে এখানে অজগর সাপ ৩০টি ডিম ফুটিয়ে বাচা দিয়েছে, ওরা এখন মনের সুখে বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বনে কমলা গাছ, বরই গাছ আর কামরাঙ্গা গাছ রয়েছে, এখান থেকেই একি সাথে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। যদি কেউ গঙ্গামতি চরের চরম মজাটা নিতে চান তাহলে খাল পার হয়ে চরের পূর্ব প্রান্তে চলে যাবেন – তখন বুঝবেন, জীবনে অবগাহণ করার মতন মোহনীয় যায়গা আসলেই আছে ।

* লাল কাঁকড়ার দ্বীপ
কুয়াকাটা থেকে ফাতরার চরের দিকে যেতে হাতের ডান পাশে পড়বে এই দ্বীপ, এখানে ভোর সকালে আসলে লাল কাঁকড়ার মিছিল দেখা যাবে, আবার গঙ্গামতি চরের পূর্ব পাশেও লাল কাঁকড়া অবাধে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সাথে সাক্ষাতের সময় ঐ একটাই - প্রথম ভোরে...

আপডেটঃ লাল কাঁকড়ার দ্বীপে ভোরে বা সকালে গেলে লাল কাঁকড়ার দেখা পাওয়া টা কষ্টকর। সূর্যের তাপে বালু উত্তপ্ত হয়ে গেলে কাঁকড়া রা বাইরে বের হয়ে আসে। তাই, সকাল ১১ টার দিকে গেলেই শজে লাল কাঁকড়ার দৌড়া দৌড়ি উপভোগ করতে পারেন।
তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার উপস্থিতি যেন কোন ভাবেই তাদের কে ক্ষতিগ্রস্থ না করে।

লেবুর চরঃ
লেবুর চর নামে একটা জায়গা থেকে তিন নদীর মোহনা দেখা যায়। এক পাশে সমূদ্র আরেক পাশে তিন নদীর মোহনা, অপর পাশে উপকূলীয় বন, নদীর ওপারে দেখা যায় ফাত্রার বন- সব মিলিয়ে জায়গা টা অসাধারন। বাইকে করেই ঘুরে আসতে পারবেন সহজেই। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা যায়।

  • কুয়াকাটার হোটেল গুলোর তথ্য

কুয়াকাটায় হোটেলের অভাব নাই।
৩০০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকার হোটেল পর্যন্ত রয়েছে।
একেবারে সী-বিচের কাছে কিছু হোটেল রয়েছে, এছাড়া পর্যটনের হোটেলও আছে। থাকা নিয়ে সমস্যা নাই, যেকোনো হোটেলে আরামে থাকা যাবে। যেহেতু সাগর এলাকা সুতরাং নিজের জিনিসপত্র একটু সাবধানে রাখাই ভালো...

নিচের লিঙ্কটিতে বেশ কয়েকটি হোটেলের ফোন নম্বর আছে।
http://www.bangladeshtourismdirectory.com/accommodation-hotel-list-bangladesh.html



  • খাবার দাবার এর তথ্য

এখানকার খাবার খুবই বাজে বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে সী-বিচের খুব কাছে একটা হোটেলগুলো খাবার রীতিমতন মুগ্ধকর, দামও কম।  বেড়িবাধের উল্টা পাশের (শহর সাইডের) খাবার না খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এখানকার চটপটি খুবই ভালো।


  • খরচ

কুয়াকাটায় খরচ তুলনামুলকভাবে বেশী। যাওয়া-আসা-থাকা-খাওয়া-ঘুরাঘুরি সব মিলিয়ে ২ দিনের জন্য প্রায় ৩০০০- ৫০০০টাকার মতন খরচ হতে পারে, ডেকে গেলে আর কিংস হোটেলে থাকলে ২৭০০-২৮০০ টাকাই অনেক।


  • টিপস

১ – কুয়াকাটা থেকে ঢাকার বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে, ঐ বাস মিস করলে ওইদিন আর ঢাকার মুখ দেখতে হবে না, কাজেই টাইমিংটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২ – ক্যাম্পিং এর জন্য ফাতরার চর ভালো যায়গা, ঐখানে সিকিউরিটি আছে, গঙ্গামতির চর হলো বেস্ট, বাট ঐখানে সিকিউরিটি নাই, ডাকাতের আক্রমণে পড়ার সম্ভাবনা মোর দ্যান ৬০ %

৩-ট্রলারে করে সব জায়গায় যাওয়া যাবে না। আর সময় ও অনেক বেশী লাগবে। সেইক্ষেত্রে বাইক এ করে ঘুরে আসা যেতে পারে। বাইক গুলো ১৫ টা স্পট ঘুরিয়ে আনবে।  বাইক এর চালক রাই আপনাকে খুঁজে নিবে। কষ্ট করে তাদের খুঁজতে হবে না। আপনার কাজ শুধু দামাদামি করা। দামাদামি করে ৫০০ টাকার মধ্যেই বাইক ঠিক করা যেতে পারে।

৪- আমতলী থেকে কুয়াকাটা বাসের ছাদে করে যাওয়া উত্তম।। রাস্তার দুইপাশের ছোট-মাঝারি-বড় হরেক আকারের হাজার খানেক পুকুর আপনাকে বিস্মিত এবং মুগ্ধ করবেই ।।

৫ – সাগরে ময়লা ফেলবেন না, আমাদের একটাই মাত্র সাগর – একেও যদি আমরা ঠিকমতন দেখেশুনে রাখতে না পারি তাহলে এর ব্যর্থতাঁর দায়ভার আমাদেরই নিতে হবে, আমরা আচার থেকে শুরু করে যাই খাই না কেনো, সবকিছুর প্যাকেট নিয়ে আসবো, একটা কনাও সাগরে ফেলবো না। এই সাগর আমাদের, একে পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও আমাদের...


  •  গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) পটুয়াখালি সদরঘাটে নেমেই আপনি কয়েকটি হোটেল পাবেন যেখান থেকে সকালে নাস্তার পর্বটা সেরে নিতে পারেন।

২) ঢাকা থেকে ডেকে করে লঞ্চে পটুয়াখালী যেতে আপনার ২০০ টাকা খরচ পড়বে। কেবিনের চাইতে ডেকে করে যাওয়াই ভালো (যারা আয়েশিভাবে যেতে অনিচ্ছুক)। কেবিনগুলো যে তলায় থাকে তার সামনের (লঞ্চের সামনের দিকে) দিকের খালি যায়গাতে বসে-ঘুমিয়ে রাত পার করতে পারেন। সাথে করে চাদর বা স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে গেলে ভালো হয়। রাতে খানিকটা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। রাতে চাঁদের আলোয় নদীর রূপ অনেক বেশি মোহনীয় হয়ে ওঠে। তারাভরা আকাশটাও সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়।

৩) পটুয়াখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় সরাসরি বাস সার্ভিস চালু আছে। ডাইরেক্ট সার্ভিস বললেও এটা আসলে লোকাল সার্ভিস মানে দাঁড়িয়ে লোক নেয়। ভাড়া ১৪০ টাকা। যাত্রাপথে তিনটি ফেরি পার হতে হয়। ফেরির অপেক্ষায় ১ ঘন্টা বা তার কিছু বেশি সময় নষ্ট হতে পারে। অবশ্য নদীর উপর সেতুর কাজ চলছে। এটি সমাপ্ত হয়ে গেলে সরাসরি কোনো ঝামেলা ছাড়াই কুয়াকাটা পৌঁছানো সম্ভব হবে। মোটর সাইকেলে করে যেতে চাইলে অবশ্য অবশ্যই দরদাম করবেন। কারণ এখানকার মোটর সাইকেল চালকদেরকে আমার সুবিধের মনে হয়নি। তারা অনেক বেশি পকেট কাটায় ওস্তাদ। আর তাদের নিজেদের একটি সিন্ডিকেট আছে। সবাই বেশ জোটবদ্ধ থাকে।

৪) কুয়াকাটার হোটেলের খাবারের স্বাদ আমার কাছে খুব একটা ভালো মনে হয়নি। এর চাইতে কক্সবাজারের খাবার হোটেলগুলো অনেক ভালো। এদের রান্না ভালো হয়নি। তবে লেবু বাগানে মশলা দিয়ে কাঁকড়া ভাজা খেয়েছিলাম। ওটা দারুণ লেগেছিল। বলতে গেলে হোটেলের চাইতে ওটাই বেস্ট ছিল (যদিও আমি জীবনে প্রথমবারের মতো কাঁকড়া খেয়েছি)।

৫) কুয়াকাটা পৌঁছবার পর হাঁটতে গেলেই মোটর সাইকেলের চালকরা আপনাকে ছেঁকে ধরবে তাদের সেবা নেবার জন্য। এক্ষেত্রে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। অনেকে সারাদিন বিভিন্ন স্পটে ঘুরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন অংকের টাকা চাইবে। যা চাইবে আপনি মনে করবেন তার অর্ধেক বা সেটির চাইতেও কম টাকায় আপনি ঘুরে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। যারা পয়সা বাঁচাতে চান তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন- আমি যখন কুয়াকাটা যাই তখন একজন মোটর সাইকেল চালক কুয়াকাটা হতে বরগুনার টেংরাগিরি ইকোপার্কে যেতে ১৮০০ টাকা চাচ্ছিল। তার বর্ণনা অনুযায়ী সেটা যৌক্তিকও মনে হয়েছিল। তবে রাখাইন বাজারে থাকা কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট সেন্টারে গিয়ে খবর নিয়েছিলাম। ওখানে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার ভাইয়ের পরামর্শমতো আমরা ভেঙে ভেঙে বরগুনার টেংরাগিরি ইকোপার্কে গিয়েছি। ভাড়া পড়েছে জনপ্রতি মাত্র প্রায় ২৫০ টাকা। বুঝেন এবার অবস্থাটা!

৬) কুয়াকাটায় আগত ট্যুরিস্টদের সকল প্রকার তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার নাম হলো “কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট সেন্টার”। প্রতিষ্ঠানটি আপনাকে ভালো ভালো তথ্য দিতে পারবে। অন্তত আপনি এদের পরমার্শ নিলে কোথাও ঠকবেন না। এজন্য রুমান ইমতিয়াজ তুষার ভাইয়ের সাহায্য নিতে পারেন (সভাপতি-কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, ম্যানেজিং ডিরেক্টর-কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট সেন্টার, ফোন : ০১৭১১১১৩৪১২, ০১৯২৩৮৯২৭৩২)।

৭) কুয়াকাটা ঘুরার জন্য বাইক হলো দ্রুত ও স্বাচ্ছন্দ্যের বাহন। তবে দরদাম করবেন।


কুয়াকাটায় কোনো রিক্সা নাই, সব ভ্যান গাড়ি।যাতায়াতের জন্য সবসময় ভ্যান বা মোটরসাইকেল ব্যাবহার করতে হবে।
 

Blogger news

Blogroll

About