মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ হলেও আমরা খুব কমই জানি মিয়ানমার
সম্পরকে এমন কি জানিনা বললে ভুল হবে না, আমারা যা জানি তা বেশির ভাগই
ধারনা। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত যোগাযোগ টেকনাফ দিয়ে তাই
আপনাকে মিয়ানমার যেতে হলে টেকনাফ দিয়ে তা সম্ভব (অন্য কোনো রুট দিয়ে স্থল
পথে যাও্য়া যায় কিনা জানা নেই ) । এন্ট্রি পারমিট করে আপনি মিয়ানমারের
''মংডু '' ঘুরে আসতে পারেন সহজেই।
কিভাবে যাবেন:
আপনি যদি ঢাকা থেকে যাতে চান তাহলে বাস এ টেকনাফ যাবেন, টেকনাফ বন্দর এর
কয়েক কি মি আগেই রয়েছে ইমিগ্রেশন অফিস, আপনি বাস থেকে সরাসরি ইমিগ্রেশন
অফিস এ নেমে যেতে পারেন অথবা টেকনাফ বন্দর এ নেমে আপনাকে সি এন জ়ী নিয়ে
আসতে হবে ( সময় লাগবে ১০ মিনিট)। মায়ানমার যাওইয়ার জন্য আপনাকে এন্ট্রি
পারমিট নিতে হবে এই ইমিগ্রেসন থেকেই, এবং এই ইমিগ্রেশন জেটীতেই আপনার
কাক্ষিত মায়ানমার এ আসা-যাও্য়ার বোট পাও্য়া যাবে
এন্ট্রি
পারমিট আপনি স্পটেই নিতে পারবেন এবং এজন্য আপনার দুইটা জিনিস অবশই লাগবে,
তা হচ্ছে ০১। জতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং ০২। স্টাম্প ও পাসপোরট সাইজ
ছবি। কোন দালাল বা অন্য কাউকে ধরার দরকার নাই , ইমিগ্রেশন এ দুইটা ভাগ ,
পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন, আপনি প্রথমে পুলিশ অংশে যাবেন ( অই অংশে মুলত এন্ট্রি
পারমিট ইসু করে ) ওখানের ফরমালিটিজ শেষ হলে ওরাই আপনাকে দেখিয়ে দেবে
পরবরতী অংশ ( সীমান্ত পার হও্য়ার অনুমতি, ভিসা আর কি ) , এন্ট্রি পারমিট
নিয়ে দিনে দিনেই যেতে চাইলে আপনাকে সকাল ৮ঃ ৩০ মিনিট এ উপ্সথিত থাকতে হবে।
এন্ট্রি পারমিট এবং আসা-যাও্য়া বোট ভাডা মিলিয়ে জন প্রতি ১৮০০ থেকে ২০০০
টাকা খরচ পডবে।
কখন যাবেন: আপনি
বছরের যেকোন সময় যেতে পারেন তবে শীত কাল সব চেয়ে ভাল হবে, আপনার যদি
সেইন্ট মারটিন সহ ঘুরে আসার পরিকল্পনা থাকে তাহলে শীতের সময়ই সবচেয়ে ভাল।
কোথায় থাকবেনঃ থাকার জন্য বেশ কয়েক টি হোটেল রয়েছে মংডু তে, আপনি অনায়াসে মোটামুটি ভাডায় থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেনঃ বাংলা খাবারের হোটেল রয়েছে বেশ কিছু। মুসলিম হোটেল ও রয়েছে।
আশেপাশের দর্শনিয় স্থানঃ দর্শনিয়
স্থান এর চেয়ে মিয়ানমারের মানুষ, সামাজিক রীতিনীতি, জীবন ধারা আপনাকে নতুন
ধারনা এনে দেবে দেশ টি সম্পরকে, তবে বোদ্ধ মন্দির সহ বেশ কিছু দর্শনিয়
স্থান রয়েছে।
টিপসঃ একটা
বিষয় মনে রাখা খুবই জরুরী তা হল মিয়ানমারে রয়েছে সামরিক শাসন তাই মিয়ম
কানুন মেনে চলতে হবে কঠোর ভাবে, ২০১৪ সালে ও মোবাইল, ক্যেমেরা এলাউ করত না
এবং বাংলাদেশি টাকা ৫০০০ এর বেশী নেয়া যেত না, তাই যাও্যয়ার আগে বাংলাদেশ
ইমিগ্রেশন থেকে জেনে যাবেন নিয়ম কানুন।
যত কম জিনিসপত্র নিয়ে
যাবেন ততই ভাল, মিয়ানমার জটি তে তল্লাসী তে সময় বাচবে, আপনার শরির তল্লাসী
হতে পারে তাই লুকিয়ে কোনো কিছু নিয়ে যাওয়ার চিন্তা ও করবেন না।
বিঃ
দ্রঃ এই তথ্য ২০১৪ সালের তাই নিয়ম পরিবরতন হয়ে নতুন মিয়ম হতে পারে বা নিয়ম
শিতিল হতে পারে , নতুন কোণ ইনফরমেশন জানলে তা পরবরতীতে আপডেট করা হবে।
Credit- Fazlay Rabby
রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন